ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর- দরজায় কড়া নাড়ছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। নিউজিল্যান্ডে আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল সোমবার রাতে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে। ডানেডিনে ১০ দিনের ক্যাম্প করবেন সাইফ হাসান, আফিফ হোসেনরা। এ ছাড়া স্থানীয় দলের সঙ্গে ৫০ ওভারের তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে প্রস্তুতিতে কোনো কমতি রাখছে না বাংলাদেশ। তারপরও ভয়! ভয়টা কন্ডিশনকে নিয়ে। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে সিনিয়র দলও নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে হিমশিম খায়। সেখানে যুব দলের আত্মবিশ্বাস থাকার কথা তলানিতে। তাদের সাহস জোগাতে এগিয়ে এলেন বাংলাদেশের ওয়ানডের অধিনায়ক মাশরাফির বিন মুর্তজা। রোববার যুব দলের অনুশীলনের পর মাশরাফি তাদের সঙ্গে বসেছিলেন প্রায় এক ঘন্টা। যুবাদের সাহস দিয়েছেন, উদ্দীপ্ত করেছেন, জুগিয়েছেন প্রেরণা। বলেছেন, মনের আনন্দে ক্রিকেট খেলতে। মাশরাফির ভাষ্য, ওদের মানসিকভাবে শক্ত থাকতে বলেছি। কারণ ওখানে গিয়ে চিন্তা করতে পারে আবহাওয়া-কন্ডিশন সব কিছু আমাদের বিরুদ্ধে। এটা চিন্তায় আসা স্বাভাবিক। ওদের বলেছি, মনের আনন্দে ক্রিকেট খেলবে। যতটা ওরা ফ্রি ক্রিকেট খেলবে ততটা ওরা উপভোগ করতে পারে। সেমিফাইনাল কিংবা বিশ্বকাপ জিততে হবে, ওরকম চাপ না নেওয়ার। যুবাদের জন্য কী কী চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, সে ধারণাও দিয়েছেন মাশরাফি, উইকেটগুলো ফ্লাট এবং সমান বাউন্স থাকবে। অসমান বাউন্স পাবে না। ব্যাটসম্যানরা ভালো উইকেট পেতে পারে। তবে বোলারদের কষ্টটা একটু বেশি হবে। বাতাসের বিপক্ষে বোলিং করতে হবে। নিউজিল্যান্ডে বাতাস বড় ভূমিকা পালন করে। ওরা তো ১৫-২০ দিন আগে যাচ্ছে। ওরা মানিয়ে নেওয়ার সময় পাচ্ছে। এ সময়ে ভালো পরিকল্পনা করলে ভালো ফল পাবে। সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন কিংবা কাজী অনিকদের অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এ বিশ্বকাপ সফরকে শিক্ষণীয় করে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মাশরাফি। শুধু যুব দল নয়, আগামী চার-পাঁচ বছর পর তারাই বাংলাদেশ ক্রিকেটকে প্রতিনিধিত্ব করবে। তাই তাদেরকে প্রস্তুতিটা এখন থেকেই শুরু করার কথা বলেছেন মাশরাফি। আরও পড়ুন: কোহলির থেকে সেরা স্মিথ: ওয়ার্ন মাশরাফির প্রত্যাশা, ওরা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছে। মাঠে কঠোর পরিশ্রম করবে। শতভাগ উজাড় করে ক্রিকেট খেলবে, এতটুই প্রত্যাশা করছি। চার বছর পরে বাংলাদেশকে ওরাই প্রতিনিধিত্ব করবে। ওখানে গিয়ে কাপ জিতল বা কী করল, এটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হলো ওরা কী শিখছে এবং ওদের ওই অনুভূতিটা আছে কি না যে, ওরা বাংলাদেশের হয়ে খেলছে এবং সেরাটা খেলছে কি না। তথ্যসূত্র: রাইজিংবিডি এআর/১৮:৫৫/২৪ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2C15TWe
December 25, 2017 at 12:56AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top