আসাম, ০৩ জানুয়ারি- প্রথম তালিকায় বৈধ নাগরিকদের নাম বাদ পড়ল কার দোষে, জানতে চাইলেন আসামের বাংলাভাষী বুদ্ধিজীবীরা। আসামের বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনের (এনআরসি) প্রথম তালিকা প্রকাশের পর থেকেই নিজেদের ক্ষোভ ব্যক্ত করে চলেছেন। গতকাল মঙ্গলবার শিলচরে এক সংবাদ সম্মেলনে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, কার দোষে এমনটা হলো, সেটাই আগে প্রমাণিত হোক। বৈধ নাগরিকদের হয়রানি নিয়ে তিনি বিজেপি শাসিত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। তবে বিজেপির দাবি, আসামবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশাকে সম্মান জানিয়ে বৈধ নাগরিকদের প্রথম তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই সঙ্গে আসামকে বাংলাদেশি মুসলিমমুক্ত করার হুমকিও দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, বৈধ নাগরিকদের হয়রানি বন্ধে রাজ্য সরকার ব্যর্থ। গত রোববার মধ্যরাতে এনআরসি তালিকা প্রকাশের পর দেখা গেছে, বহু বৈধ নাগরিকেরই নাম নেই। কিন্তু আলফা (স্বাধীন) প্রধান পরেশ বড়ুয়া ও অরুণোদয় অসম ওরফে বিজিত গগৈ, এনডিএফবির (এস) কমান্ডার ইন চিফ বি বিদাইওরফে বিষ্ণু গৈয়ারি থেকে শুরু করে জঙ্গি নেতাদের প্রায় সবার নামই রয়েছে নাগরিকত্বের তালিকায়। কিন্তু নাম নেই খোদ এনআরসির সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলার। নাগরিকত্বের প্রমাণ হয়নি এআইইউডিএফ প্রধান সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল, নিখিল আসাম সংখ্যালঘু ছাত্র সংস্থার সভাপতি আজিজুর রহমানও। বহু বিধায়কের নাম ওঠেনি। নাম ওঠেনি বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেবেরও। আরও পড়ুন: মোদীকে বাঙালি বিরোধী বলে তোপ মমতার বিজেপির এই বিধায়ক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের সবার নাম উঠলেও আমার নাম নেই। এটা গাফিলতি। আমার নামে তো আর খান বা রহমান নেই! তবে বিজেপিরই জোট শরিক আসাম গণপরিষদ (অগপ) সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিক বাছাই চলবে না। সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অসমিয়া-অধ্যুষিত ডিব্রুগড় জেলাতেই আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ নাগরিকত্বে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর হার ৮০ শতাংশ। আর ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাসস্থান হোজাইতে এই হার মাত্র ৩৩ শতাংশ। স্বাভাবিক কারণেই সংখ্যালঘুরা আতঙ্কে রয়েছেন। কিন্তু দ্বিতীয় তালিকায় নাম থাকার আসায় এবং পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর কড়া নজরদারিতে আপাতত আন্দোলন বন্ধ। আলফা নেতা অনুপ চেটিয়া মঙ্গলবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আসামবাসীর স্বার্থে বিদেশি বিতাড়ন জরুরি। কিন্তু এনআরসি তালিকায় এ ধরনের ভুল মোটেই কাম্য নয়। এনআরসি নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, অযথা সংখ্যালঘুদের হয়রানি করা হচ্ছে। তথ্যসূত্র: প্রথম আলো এআর/১৯:৩৩/০৩ জানুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2qdbd6G
January 04, 2018 at 01:33AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top