ঢাকা, ০৪ জানুয়ারি- বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান ও নায়িকা অপু বিশ্বাসকে ডেকেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিনএসিসি) পারিবারিক আদালত। শাকিব খানের পাঠানো তালাক নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ডিএনসিসি অঞ্চল-৩ মহাখালী কার্যালয়ে তাঁদের দুজনকেই থাকতে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএনসিসি অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন। ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের ব্যাপারটি কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রেখে তাঁরা দুজন সিনেমার শুটিং অব্যাহত রাখেন। গত বছরের ১০ এপ্রিল বিকেলে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে সরাসরি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন অপু। সেদিন অপু বলেন, আমি শাকিবের স্ত্রী, আমাদের ছেলে আছে। আরও পড়ুন:আ.লীগের নেতা হতে পারবেন না শাকিব খান আট বছর নয় মাস আগের সেই বিয়ের খবর জনসমক্ষে আসার পর দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছায় যে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস নিজেদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে দেন। শুধু ছেলে আব্রামের কারণে মাঝেমধ্যে দেখা হলেও কথা হয় না দুজনের। সেই টানাপোড়েন চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যায়, যখন আইনজীবীর মাধ্যমে শাকিব খান তালাকের নোটিশ পাঠান অপুর কাছে। শাকিবের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, গত বছরের ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শাকিব খান তাঁর চেম্বারে যান। তিনি অপুকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে তাঁর কাছে আইনগত সহায়তা চান। এরপর তিনি শাকিব খানের পক্ষে ডিনএসিসির মেয়র কার্যালয়, অপু বিশ্বাসের ঢাকার নিকেতনের বাসা এবং বগুড়ার ঠিকানায় এই তালাকের নোটিশ পাঠান। সিটি করপোরেশনের পারিবারিক আদালত শাকিবের এই তালাক নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে দুজনকে ডাকার সিদ্ধান্ত নেন। ডিএনসিসি অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন বলেন, নিয়মানুযায়ী আমরা উভয় পক্ষকে তিনবার ডাকব। তাঁরা যদি সমঝোতা করে সংসার শুরু করতে চান, চেষ্টা করব মিলিয়ে দেওয়ার। আমরাও তাঁদের দুজনকে বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করব। কিন্তু যদি তাঁদের কেউ পূর্বের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন, সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করা সম্ভব হবে না। আপনাদের এই ডাকে যদি কোনো পক্ষ সাড়া না দেয় তাহলে কী হবে? এমন প্রশ্নে হেমায়েত হোসেন বলেন, এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে যখন কেউ সমঝোতা করতে চান, তাহলে ডাকে সাড়া দেন। কিন্তু কেউ তাঁর আগের সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে চাইলে বৈঠকে আসেন না। এটা আসলে তিনি কিংবা তাঁদের একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে আমরা কোনো অবস্থায় জোর খাটাতে পারি না। এবারের পর তাঁদের আরও দুবার নোটিশ দিয়ে শুনানি করা হবে। সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে বৈঠকে যা হবে, তা আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেব। এর মধ্যেও তাঁরা যদি নিজেরা সমঝোতা করে ধর্মীয় রীতিতে সংসার শুরু করতে চান, তা করতে পারবেন। আর তা না করলে তিনবার শুনানির পর নিয়মানুযায়ী তালাক কার্যকর হয়ে যাবে। গত বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশি সিনেমার এ সময়ের আলোচিত নায়িকা শবনম বুবলীর সঙ্গে ঘরোয়া পরিবেশে একটি স্থির চিত্রে শাকিব খানকে দেখা যায়। ছবিতে ফ্যামিলি টাইম ক্যাপশন লিখে নিজের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ করেন বুবলী। এরপরই অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে শাকিব খানের। ছবিটি প্রকাশের বেশ কিছুদিন পর দীর্ঘদিন গোপনে থাকা বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন অপু। তথ্যসূত্র: প্রথম আলো আরএস/১২:৪৮/০৪জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2ER8IKJ
January 04, 2018 at 10:03PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন