ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি- গত ৯ বছরে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামেই তিনটি ফাইনাল হেরেছে বাংলাদেশ। অধরা থেকে গেছে একটি ট্রফি জয়ের স্বপ্ন। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেই অপূর্ণতা ঘোচাতে চান মাশরাফি বিন মুর্তজা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও কোনো ট্রফি জেতা হয়নি বাংলাদেশের। ২০০৭ বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলেও সেটি ছিল মূলত বারমুডা ও কানাডাকে নিয়ে একটি প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট। ছিল না কোনো ফাইনাল ম্যাচ। দুই ম্যাচে বাংলাদেশ হারিয়েছিল কানাডা ও বারমুডাকে। ট্রফির খুব কাছে বাংলাদেশ গিয়েছিল ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে এরকম একটি ত্রিদেশীয় সিরিজেই। ফাইনালে ১৫২ রানের পুঁজি নিয়েও শ্রীলঙ্কার ৬ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবু কুমার সাঙ্গাকারার ফিফটি আর শেষ দিকে মুত্তিয়া মুরালিধরনের ঝড়ো ইনিংসে হেরে যায় বাংলাদেশ। এরপর ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানে কাছে ২ রানে হারের বেদনা। ২০১৬ এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে ভারতের কাছে হার ৮ উইকেটে। আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ ফাইনালের একাদশে কয়টি পরিবর্তন? তিনটি ম্যাচেই ছিলেন মাশরাফি। শেষটায় ছিলেন অধিনায়ক। আরেকটি ফাইনালকে অধিনায়ক মনে করছেন আরও একটি সুযোগ। এটা আসলে প্রত্যেকের জন্যই নতুন সুযোগ। আমি হয়ত তিনটা ফাইনালে ছিলাম, মুশফিক ছিল, সাকিব ছিল, তামিমও ছিল হয়তো। এটা আমাদের জন্য নতুন আরেকটা সুযোগ। কালকে সম্পূর্ণ নতুন একটা ম্যাচ। আগের ম্যাচগুলো নিয়ে ভাবার দরকার মনে করছি না। হারজিত তো থাকবেই, একদল জিতবে আর একদল হারবে। এটা নিয়ে না ভেবে আমার মনে হয় ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা দরকার। প্রথম তিনটা ম্যাচ যেভাবে খেলেছি, সেই মানসিকতা যেন থাকে। গত কাল হয়ত যেটা প্রত্যাশা ছিল, সেটা মাঠে দেখাতে করতে পারিনি। ওটা আবার না হলেই হয়। অধিনায়ক জানালেন, হতাশার সেই অধ্যায়গুলো পেছনে ফেলে সাফল্যের নতুন অধ্যায় রচনা করতে মরিয়া দল। ফাইনাল ম্যাচে জেতার জন্য আমরা উদগ্রীব হয়ে আছি। এটা সত্যি কথা। প্রথমবারের মতো হবে (চ্যাম্পিয়ন), যদি হতে পারি। তবে এটা হওয়ার আগ পর্যন্ত বেশি চিন্তা করলে চাপ এসে দাঁড়ায়। ফাইনাল ম্যাচে চাপ থাকেই। গতকাল জিতলেও থাকত। কাজেই একটা চাপ থাকে, ওটা থাকবেই। যারা চাপ সামলাতে পারবে, তারাই এগিয়ে থাকবে। মাশরাফির মতে, একটি ট্রফি জয় দেশের ক্রিকেটে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, যদি জিততে পারি তবে এটার প্রভাব ভালো হবে। এখন যারা ড্রেসিংরুমে আছে, যারা জুনিয়র ক্রিকেটার, তারা বুঝতে পারবে এরকম একটা জয়ের স্বাদ কেমন, এরকম ম্যাচ জিতলে কেমন লাগে, এটা বুঝবে। তখন তাদের মধ্যে ওই চাওয়াটা, বা জয়ের ক্ষুধাটা তৈরি হতে পারে। সিনিয়রদের কথা যদি বলি, আমাদের জন্যও এটা একটা দারুণ সুযোগ। আমার মনে হয় যে এরকম টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা যে কোনো দলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। সূত্র: বিডিনিউজ২৪ আর/০৭:১৪/২৭ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2Goxbb4
January 27, 2018 at 01:55PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন