পেনসেলভেনিয়া, ২৭ ফেব্রুয়ারি- যুক্তরাষ্ট্রের পেনসেলভেনিয়া রাজ্যের লেফটেন্যান্ট গর্ভনর পদে নির্বাচন করবেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. নিনা আহমেদ। আজ মঙ্গলবার তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে তিনি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কংগ্রেসানাল জেলায় নির্বাচনী মানচিত্রে পরিবর্তন আসায় তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে লেফটেন্যান্ট গর্ভনর পদে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফিলাডেলফিয়া নগরীর ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করার আগে থেকেই নাগরিক আন্দোলনের মূলধারার নেতা হিসেবে নিনা আহমেদ সবার নজরে আসেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি বলেছেন, প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচনের লক্ষ্যই ছিল বিদ্বেষ আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো। নিনা আহমেদ এক বিবৃতিতে বলেন, গত ২৫ বছর থেকে আমি পেনসেলভেনিয়াতে অন্যায়, অবিচার আর বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আমি মনে করেছি, এসবের অবসানের জন্য আরও প্রগতিশীল নেতৃত্ব সরকারে যাওয়া উচিত। পুরো আমেরিকাজুড়ে প্রগতিশীল নারী আন্দোলনের সংগঠন ন্যাশনাল ওরগেনাইজেশন ফর উইম্যানের ফিলাডেলফিয়া চ্যাপ্টারের সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলন নিনা আহমেদ। তাঁর নির্বাচনী তহবিলে এর মধ্যেই অন্য কোনো সম্ভাব্য প্রার্থীর চেয়ে বেশি অর্থ জমা হয়ে আছে। ২১ বছর বয়সে নিনা আহমেদ আমেরিকায় আসেন। চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি মূল ধারার নাগরিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত হন তিনি। অভিজ্ঞ সংগঠক হিসেবে দ্রুতই তিনি আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিতে পরিচিতি লাভ করেন। পেশায় চিকিৎসাবিজ্ঞানী ড. নিনা আহমেদ লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, অন্যায় ও অসাম্যের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার থাকবেন। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে করা অস্ত্র আইন প্রণয়নের জন্য উদ্যোগী হবেন। স্কুলের শিক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদে থাকে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। ডেমোক্রেট দলের আরও আধাডজন প্রার্থী লেফট্যানেন্ট গভর্নর পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী। এর মধ্যে বর্তমান লেফট্যানেন্ট গভর্নর মাইক স্টেকও রয়েছেন। নিনা আহমেদের বন্ধু জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদে নিনা আহমেদের মনোনয়ন প্রাপ্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল। সাংগঠনিকভাবে এবং তহবিল সংগ্রহে ইতোমধ্যে তিনি এগিয়ে এসেছেন। নিনা আহমেদ মনোনোয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন আমেরিকার রাজ্য সরকারের কোনো শীর্ষ পদে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তি। সূত্র: প্রথম আলো আর/০৭:১৪/২৮ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2ovhtUa
February 28, 2018 at 01:19PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top