টরন্টো, ২৭ ফেব্রুয়ারি- একুশ আমাদের চেতনা - একুশ আমাদের অহংকার -সেই একুশের বীর শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন অব কানাডা ইনক্ এর উদ্যোগে স্থানীয় মিজান কমপ্লেক্স হল রুমে বিগত ২৪শে ফেব্রূয়ারি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক স্মরণসভা এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ইতোপূর্বে ২১শে ফেব্রূয়ারির প্রথম প্রহরে শফিউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে স্থানীয় শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। শীতের রৌদ্রস্নাত পড়ন্ত বিকেলে দূর দূরান্ত থেকে প্রাণের টানে ছুটে আসেন গ্রাজুয়েট এবং শিক্ষকবৃন্দ। অল্পক্ষনের মধ্যেই কানায় কানায় পরিপূর্ন হয়ে উঠে সভাস্থল। তিন পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব আলোচনাসভা। সংগঠনের বিচক্ষণ ও একনিষ্ঠ সাধারন সম্পাদক এ এম এম তোহার প্রানবন্ত সঞ্চালনায় শুরুতেই দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজান হয়। এই পর্বে সভার সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতা সমর পাল।আলোচনা সভায় একুশের চেতনা , তাৎপর্য এবং করণীয় - এই বিষয়ে সারগর্ভ বক্তব্য রাখেন সংগঠনের অ্যাডভাইসারি কমিটির সদস্য , চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক বর্তমানে ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ডীনপ্রফেসর ফাহিমুল কাদির , ডক্টর কাজী সদরুল হক, অ্যাডভাইসারি কমিটির সদস্য আমিন মিঞা এবং ব্যারিষ্টার ওবায়দুল হক। এছাড়াও একুশের প্রেক্ষিত -অতঃপর স্বাধীনতা - এ বিষয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াস মিঞা। পরিশেষে সভাপতি সমর পাল উপস্থিত সবাইকে অনুষ্টানে আসার জন্যে এবং সার্বিক সহযোগিতার জন্যে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে পরবর্তী সাংস্কৃতিক অনুষ্টান উপভোগ করার আহবান জানিয়ে প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদিকা কানিজ ফাতেমার সঞ্চালনায় এ পর্বের মূল আকর্ষণ ছিল নতুন প্রজম্মের ছেলে মেয়েদের অংশগ্রহন। মূলত বাংলাভাষা এবং সংস্কৃতির সাথে এ প্রজন্মের সেতুবন্দন , অনুপ্রাণিত এবং আকৃষ্ট করার লক্ষে গ্রাজুয়েটদের ছেলে মেয়েদের অংশগ্রহনকে উৎসাহিত করা হয়। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি ...কোরাস দিয়ে শুরু হয় এই পর্বের। এতে যারা অংশ নেন : মুক্তা পাল , অনিতা পাল, ইউশা, অনুপ সেনগুপ্ত ,: তিথি , কঙ্কা পাল , অরুনিমা,তানভী হক , সাজ্জাদ , সিরাজী.একক সংগীতে যারাঅংশগ্রহণ করেন তারা হলেন : তিথি , কঙ্কা পাল , অরুনিমা ,সৌম্য , তনুশ্রী , মুক্তা পাল , ইউশা, সিরাজী এবং তানভী হক। স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন তানভী হক।তবলায় সঙ্গত করেন দোলন সিন্হা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মুক্তাপাল। অনুষ্ঠানের সৰ্বশেষ পর্ব ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এই পর্বে পরিবেশিত হয় তানভী হকের রচনা এবং নির্দেশনায় নাটিকা প্রভাত ফেরি।অভিনয়ে ছিলেন তানভী ,অনুপ সেনগুপ্ত এবং সাজ্জাদ হোসেন। আলোক নির্দেশনায় ছিলেন জামান এবং শব্দ ও স্থিরচিত্র নিয়ন্ত্রণে ছিলেন সমর পাল। সর্বশেষে আগত অতিথিদের জন্যে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সফলতার মুলে যাদেরপ্রেরণা, সহযোগিতা এবং কঠোর পরিশ্র মঅনিস্বীকার্য তারা হলেন যথাক্রমে : সমর পাল , এ এম এম তোহা, নাজমুল মুন্সি , বাহাউদ্দিন বাহার , তাপস ভট্টাচার্য , সুদান রায় , বিশ্বজিৎ পাল, সরওয়ার জামান ,অনুপ সেনগুপ্ত , তানভী হক , সাজ্জাদ হোসেন , কানিজ ফাতেমা, গিয়াস উদ্দিন, কামরুল আলম,অনিতা পাল এবং নাসিমা বেগম লাভলী। আর/১৭:১৪/২৭ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2GPMWXH
February 28, 2018 at 12:33AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top