অটোয়া, ২৬ ফেব্রুয়ারি- কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৮ উদযাপন করে । এ উপলক্ষে ২১শে ফেব্রয়ারি সকালে বাংলাদেশ হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান। এ সময় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। এ উপলক্ষে অটোয়ার রিচলিউ ভ্যানিয়ার কমিউনিটি সেন্টারে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ হাইকমিশন। উক্ত অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও বন মন্ত্রী মিস নাতালি দে রোসিইয়ে। মূল অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহিদদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।অতঃপর ঢাকা থেকে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার নাইম উদ্দিন আহমেদ, কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন, কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মো. আলাউদ্দিন ভূঁইয়া এবং কাউন্সিলর ফারহানা আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান ১৯৫২র ২১শে ফেব্রুয়ারী ভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন এবং তার ধারাবাহিকতায় দেশের মহান স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ এ যাঁরা শাহাদাৎ বরণ করেছেন তাঁদের সহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর স্বাগত বক্তব্য শুরু করেন। তিনি ১৯৫২র মহান ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য তুলে ধরে মাতৃভাষার সম্মান রক্ষায় সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বারসহ আরও যারা শহীদ হয়েছেন তাদের কাছে জাতি চির ঋণী বলে উল্লেখ করেন। তিনি নতুন প্রজন্মকে বিশেষত প্রবাসে বসবাসরত বাঙালি শিশু-কিশোরদের মাঝে আমাদের ভাষা আন্দোলন এবং বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও বন মন্ত্রী মিস নাতালি দে রোসিইয়ে ভাষা আন্দলনে শহিদদের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে সবাইকে স্ব স্ব মাতৃভাষা চর্চার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে অটোয়ায় বসবাস রত প্রবাসী শিশু কিশোরেরা নাচ এবং গান পরিবেশন করে। এতে অংশগ্রহণ করে আমানি,আলিনা,আলিসিয়া, সহি, ওয়াজিদ, তাকবীর, চন্দ্রিমা, ওয়ানিয়া এবং লামিয়া। সাংস্ক্রতিক অনুষ্ঠানের মূল পর্বে হাই কমিশন পরিবারসহ উপস্থিত শিল্পীবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবর্গের সমবেত কণ্ঠে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি গানটি পরিবেশিত হয়। এ​রপর অটোয়ার শিল্পীবৃন্দ ভাষা আন্দোলন, রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম ও গণজাগরণের বিভিন্ন গান কবিতা ও নাচ পরিবেশন করেন। এই পর্বে অংশগ্রহণ করেন গিয়াস ইকবাল সোহেল, ফারহানা আহমেদ চৌধুরী, নার্গিস আক্তার রুবি, দেওয়ান মাহমুদ​, শিশির শাহনেওয়াজ,ডালিয়া ইয়াসমীন​, অং সুয়ে থোয়াই , ফারজানা মওলা অজন্তা, শারমিন সিদ্দিক শামা। আর/১৭:১৪/২৬ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2CLweq0
February 26, 2018 at 11:12PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top