মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ থেকে :: সিলেটের বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আজির উদ্দিন (৫০) নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার চারদিন পর প্রতিপক্ষের ৯জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ৪/৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মঙ্গলবার (২০মার্চ) রাতে বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী সিতারা বেগম। মামলা নং-২১।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার রঘুপুর গ্রামের মৃত আকবর আলীর পুত্র মজর আলী (৬০), তার পুত্র জয়নাল (২৫), স্ত্রী রেনু বিবি (৫০), মৃত ইন্তাজ আলীর পুত্র ইছাক আলী (৪৫), আনছার আলী (৪২), ইছুব আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪৫), ইছাক আলীর স্ত্রী আকলিমা (৩০), তার পুত্র খালেদ (১৯) ও আঙ্গুর মিয়ার পুত্র রুবেল (২০)।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, বিবাদীদের সাথে বসতবাড়ির রাস্তা ও মামলা মোকদ্দমা নিয়ে পূর্ব হইতে তার স্বামী আজির উদ্দিনের বিরোধ চলে আসছে। ইতিপূর্বে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী সকালে বিবাদী ইছাক আলী গংরা আজির উদ্দিনকে মারধর করে ও প্রাণে হত্যার হুমকি দেন। ওইদিন দিবাগত রাতে বিবাদীরা তার (আজির উদ্দিন) বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দিলে সমস্তঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেন আজির উদ্দিন। পূর্ব শক্রতার জের ধরে গত ১৬ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টায় আজির উদ্দিন ক্ষেতের কাজ শেষে বাড়ির উঠানে আসামাত্র তাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে বিবাদীগণ পরিকল্পিতভাবে তার উপর আক্রমন চালায়। হামলায় গুরুত্বও আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান আজির উদ্দিন। এসময় পরিবারের অন্যান্যা সদস্যরা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেল তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। একপর্যায়ে গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসলে আজির উদ্দিনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে বিবাদীগন চলে যায়। এরপর দ্রুত আজির উদ্দিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে মামলার এজাহারে নিহতের স্ত্রীর সিতারা বেগম (বাদী) উল্লেখ করেন।
মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রঘুপুর গ্রামের মৃত তেরাব আলীর পুত্র মৃত আজির উদ্দিন। সম্প্রতি অগ্নিকান্ডে আজির উদ্দিনের বসত ঘর পুড়ে যায়। এরপর আজির স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তার মা মহিমা খাতুনের ঘরে আশ্রয় নেন। ১৬মার্চ শুক্রবার বিকেলে ঘরে থাকা নিয়ে আজির উদ্দিনের মায়ের সাথে তার স্ত্রী সিতারা বেগমের ঝগড়া হয়। তখন সিতারা বেগম আসবাবপত্র নিয়ে পার্শ্ববর্তি আজির উদ্দিনের চাচা মজর আলীর পরিত্যক্ত বসত ঘরে আশ্রয় নেন। এনিয়ে মজর আলী গংদের সাথে আজির উদ্দিনের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়। এসময় প্রতিপক্ষের আঘাতে আজির উদ্দিন গুরুতর আহত হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আজির উদ্দিন ৫পুত্র ও ৪কন্যা সন্তানের জনক।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2GN1qsC
March 21, 2018 at 12:39PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন