কলকাতা, ২০ মার্চ- এক সময় বহু জোটের স্থপতি ছিলেন প্রাক্তন এই এআইসিসি সদস্য৷ কেশব রাও এখন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সাংসদ৷ সোমবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কালভাকুন্তলা চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে নবান্নে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে৷ জাতীয় রাজনীতিতে জোট রসায়নের এই পাকা খেলোয়ারকে অনেকবারই তৃণমূল নেত্রীর মন পড়তে কলকাতায় পাঠাতেন সনিয়া গান্ধী এবং প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ কংগ্রস-তৃণমূল জোটের এই সফল স্থপতিকেই কাজে লাগিয়েছেন এ বার কে সি আর৷ কংগ্রেস এবং বিজেপির থেকে সম দূরত্বে থাকতে চাওয়া তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি ধর্মনিরপেক্ষ তৃতীয় ফ্রন্টে যোগ দিতে ইচ্ছুক৷ কিন্তু এই ধর্মনিরপেক্ষ-গণতান্ত্রিক তৃতীয় ফ্রন্টের চেহারা ঠিক কীরকম রকম হবে, তা এখনও আবছা৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বন্ধু হিসেবে পেয়েছেন কে সি আর৷ কে সি আরের মতো মমতাও অ-কং, অ-বিজেপি তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার কথা ভাবছেন বলেই খবর৷ কে সি আরের বক্তব্য, ৭০ বছর কংগ্রেস এবং বিজেপির শাসনের পর দেশে একটা মিরাকল এবং রেভোলিউশনের প্রয়োজন৷ তার জন্য তাড়াহুড়ো করলে হবে না৷ আজ একটা ভাবনার জন্ম হল৷ তবে ভাবনাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করাতে সিদ্ধহস্ত কেশব৷ দক্ষিণের রাজনীতিতে তিনি পরিচিত মুখ৷ ১৯৭৯ থেকে ৮৫ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের বিধায়ক ছিলেন কেশব রাও৷ আরও পড়ুন: আঞ্চলিক দলগুলি রসালো ডিপার্টমেন্ট পেতে এখন থেকেই সক্রিয় বিভিন্ন সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য কেশব রাও ২০১৪-র তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন৷ লোকসভায় ১১ জন সাংসদ রয়েছে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির৷ এ দিন নবান্নে গাড়ি থেকে নেমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে এগিয়ে যান কে সি আর৷ একটু পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মেলাতে এগিয়ে আসেন কেশব রাও৷ ভোট আর জোট রাজনীতির পুরানো স্মৃতি ফিরে এল আবার৷ তথ্যসূত্র: কলকাতা২৪৭ এআর/১০:১৪/২০ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2u1qZnh
March 20, 2018 at 04:13PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন