ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর- বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ এসছিল সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের মধ্যেই। বাম হাতের আঙুলে পুরনো চোট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ২৭শে সেপ্টেম্বর বা হাতে ফোলা নিয়ে সাকিব আসার পর বাংলাদেশের একটি হাসপাতালে দ্রুত অপারেশন করা হয়। সেখানে ৫০ থেকে ৬০ মিলিলিটার পুঁজ বের হয়। সাকিব আল হাসান চিকিৎসক এম আলীর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। আজ তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এম. আলী বলেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে আলোচনা করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই ঘন্টার মধ্যে অপারেশন করানো হয়। সাকিব যে অবস্থায় আসেন সেখানে অপারেশন করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। তিনি বলেন, সংক্রমণ হওয়ার কারণে ঠিক কোন ধরণের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয় সেটা দেখতে গিয়ে সুডোবোনাস ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। চিকিৎসক এম আলীর সাথে কথা বলে বোঝা যায় যে সাকিব যখন হাসপাতালে আসেন তখন অবস্থা ভয়াবহ ছিল। হাতে আরো খারাপ কিছুও হতে পারত। ঠিক কতোদিন সময় লাগতে পারে সাকিব পুরোপুরি সুস্থ হতে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূল অস্ত্রোপচারের জন্য দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় নেয়ার প্রয়োজন। মূলত সংক্রমিত জায়গা ঠিক হতে সময় প্রয়োজন, তারপর অস্ত্রোপচার। ধারণা করা যাচ্ছে সব মিলিয়ে ৩ মাস ক্রিকেট থেকে দূরে থাকবেন সাকিব। বা হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চোট পান সাকিব। চোটের কারণে শুরুতে নিদাহাস ট্রফির দলে না থাকলেও পরে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও ব্যথানাশক ঔষধ নিয়ে খেলেন সাকিব আল হাসান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। এশিয়া কাপের আগে সাকিব নিজের হাতে অস্ত্রোপচার করাতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চাওয়া ছিল এশিয়া কাপের পরে অস্ত্রোপচার করানো। কিন্তু গত সোমবার এশিয়া কাপ চলাকালীন ব্যথা বাড়ে ফলে আবারো স্ক্যান করানোর পর এশিয়া কাপ না খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।এশিয়া কাপে সাকিব মোট ৭টি উইকেট নিয়েছেন। আঙুলের ব্যথায় ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি। যে কারণে রশিদ খানের কাছে হারাতে হয়েছে ওয়ানডের বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডারের শীর্ষ স্থানটি। তথ্যসূত্র: কালের কণ্ঠ এইচ/২২:৩০/৩০ সেপ্টেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2y09lPh
October 01, 2018 at 04:36AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top