দেরাদুন, ১৮ সেপ্টেম্বরঃ দেরাদুনের একটি বোর্ডিং স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তারই সিনিয়রদের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা ও অভিযুক্তরা ওই স্কুলেরই পড়ুয়া। স্কুলের দায়িত্বশীল পদাধিকারীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চার ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে স্কুলের ডিরেক্টর, প্রিন্সিপাল, সস্ত্রীক মুখ্য প্রশাসক এবং হস্টেলের কেয়ারটেকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ওই বোর্ডিংয়ে দিদির সঙ্গে থাকত বছর ১৬-র কিশোরী। অভিযোগ, গত ১৪ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতি উপলক্ষ্যে তাকে স্কুলের স্টোর রুমে ডেকে নিয়ে যায় চার সিনিয়র ছাত্র। সেখানেই ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এর জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। এরপর গোটা ঘটনাটি সে জানায় তার দিদিকে। তখনই গণধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসে।
অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ওই ছাত্রী বিষয়টি জানিয়ে সুবিচার চেয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে স্কুলের দায়িত্বশীল পদাধিকারীরা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লাগেন। এমনকি, গোপনে ছাত্রীটিকে ওষুধ-মিশ্রণ খাওয়ানো থেকে শুরু করে গর্ভপাত করাতে নার্সিংহোমে পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়।
ছাত্রীর দিদি গোটা বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানানোর পরই শোরগোল শুরু হয়। নজরে আসে পুলিশের। চার ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তাঁরা।
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তুলোধোনা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক।’ মঙ্গলবার তিনি টুইটারে লেখেন, ‘আর একটা ধর্ষণের ঘটনা ভারতের মাথা হেঁট করে দিল। আপনি তবু চুপ করে থাকবেন, এটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। সরকার দেশের মহিলাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারে না, কিন্তু ধর্ষকরা বুক ফুলিয়ে ঘুড়ে বেড়ায়। লজ্জা।’
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2ppcZyB
September 18, 2018 at 09:41PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন