চট্রগ্রাম, ২৪ অক্টোবর- আগের ম্যাচে খেলেছেন মাত্র ৪ বল। বল হাতেও কোনো সাফল্য পাননি। যে কারণে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফজলে রাব্বিকে খেলানো নিয়ে অনেক প্রশ্নের সুম্মখীন হতে হয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। তবে ফজলে রাব্বির কাঁধে হাত রেখে অধিনায়ক বলেছেন, একটা ম্যাচ দিয়ে কারো পারফরম্যান্স বিচার করা ঠিক নয়। অধিনায়কের কাছ থেকে অভয় পেয়েও প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে পারেননি ফজলে রাব্বি। আগের ম্যাচে বল হাতে সাফল্য না পাওয়ায় এদিন তাকে দিয়ে বল কারাননি মাশরাফি। জিম্বাবুয়ের করা ২৪৭ রানের জবাবে উদ্বোধনীতে ১৪৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের পথ সহজ করে দেন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। ৩ রান করে লিটনের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ফজলে মাহমুদ রাব্বি। রানের খাতা খুলার আগেই ফেরেন সাজঘরে। আগের ম্যাচে মাত্র ৪ বল খেলা এ অলরাউন্ডার এদিন ফেরেন মাত্র ৫ বল খেলে, স্টাম্পিং হয়ে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২৭.২ ওভারের খেলা শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান। ৬৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন ইমরুল কায়েস। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিক। সেঞ্চুরি হলো না লিটনের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফিফটি তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন লিটন দাস। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন এ ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে উদ্বোধনী জুটিতে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ১৪৮ রান সংগ্রহ করার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে করেন ৮৩ রান। তার ইনিংসটি ৭৭ বলে ১২টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো। মাত্র ১৭ রানের জন্য ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন না লিটন। ইমরুলের ১৬তম ফিফটি দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন ইমরুল কায়েস। আগের ম্যাচে ঢাকায় সেঞ্চুরি (১৪৪) করা কায়েস রোববার চট্টগ্রামে করেছেন ফিফটি। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটা তার ১৬তম ফিফটি। এর আগ একদিনের ক্রিকেটে ৩টি সেঞ্চুরি করেছেন এ ওপেনার। শুধু ফিফটি তুলে নেয়াই নয়, উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাসের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ১২২ রান সংগ্রহ করেছেন তারা। লিটনের প্রথম ফিফটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে ২৪৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ দল। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউ হয়ে রিভিউ নিয়ে নতুন লাইফ পাওয়া লিটন কুমার দাসের সঙ্গে উদ্বোধনীতে ১০০ রানের জুটি গড়েছেন ইমরুল কায়েস। ইতিমধ্যে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ফিফটি তুলে নিয়েছেন লিটন দাস। তবে এর আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন। বুধবার চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফিফটি গড়েন জাতীয় দলের এ ওপেনার। ক্যারিয়ারের ১৬তম ফিফটির অপেক্ষায় আছেন ইমরুল কায়েস। জিম্বাবুয়ে ২৪৬/৭ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দাপুটে জয়ে ১-০তে এগিয়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় টাইগাররা। সেই লক্ষ্যে বেশ ভালোভাবে কাজ সারলেন বোলাররা। শেষটা দুর্দান্ত করে প্রতিপক্ষকে মাত্র ২৪৬ রানে আটকে রাখলেন তারা। এ ম্যাচে বড় নিয়ামক হতে পারে শিশির। এটিই পার্থক্য গড়ে দিতে পারে দুদলের। তাই বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রথমেই তার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শুরুতেই দলকে সাফল্য এনে দেন তিনি। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি করে ফেরান প্রতিশ্রুতিশীল ও সম্ভাবনাময়ী এ ক্রিকেটার। মাঝের গল্পটা শুধু সফরকারীদের। ১৮ রানেই মাসাকাদজাকে হারিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। পরে ব্রেন্ডন টেইলরকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠেন সিফাস জুওয়াও। দুর্দান্ত খেলছিলেন এ জুটি। প্রতি ওভারে পাঁচের ওপরে রান তুলছিলেন তারা। ধীরে ধীরে চোখ রাঙাতে থাকেন টেইলর-জুওয়াও। তবে তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ৭০ রানে ফজলে মাহমুদের ক্যাচ বানিয়ে জুওয়াওকে (২০) ফেরান তিনি। কিন্তু থেকে যান টেইলর। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন শন উইলিয়ামস। তাদের ব্যাটে ছুটছিল জিম্বাবুয়ে। এতে নেতৃত্ব দেন টেইলরই। অবশেষে থামে তার চোখরাঙানি। দলীয় ১৪৭ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ক্যারিয়ারের ৩৫তম ফিফটি তুলে নেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ৭৩ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৭৫ রানের দর্শনীয় ইনিংস খেলে ফেরেন টেইলর। তার বিদায়ে ভাঙে ৭৭ রানের জুটি। সহযোদ্ধা হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি উইলিয়ামস। প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনিও। আবারো শিকারী সাইফউদ্দিন। দুর্দান্ত কাটারে উইলিয়ামসকে (৪৭) মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। পরে ক্রিজে আসেন সিকান্দার রাজা। ধীরে ধীরে সেট হয়ে যান তিনি। এক পর্যায়ে ব্যাটে ছোটাতে থাকেন রানের ফোয়ারা। তাতে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তবে হঠাৎই খেই হারান রাজা। মাশরাফির শিকারে পরিণত হন তিনি। মাত্র ১ রানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হন এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। তখন পর্যন্ত ইনিংসের নাটাই ছিল জিম্বাবুয়ের হাতে। তবে খানিক বাদে মুরকে মিরাজের তালুবন্দি করে উইকেটের খাতা খোলেন মোস্তাফিজুর রহমান। অল্প ব্যবধানে চিগুম্বুরাকে সাইফ ফেরালে হঠাৎ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান তুলতে সক্ষম হয় লালচাঁদ রাজপুতের দল। এদিন বাংলাদেশের সেরা বোলার সাইফউদ্দিন। ১০ ওভারের কোটা পূরণ করে ৪৫ রান খরচায় ১ মেডেনসহ ৩ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া মাশরাফি, মোস্তাফিজ, মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহর শিকার ১টি করে উইকেট। সূত্র: যুগান্তর এমএ/ ০৯:২২/ ২৪ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2RfoXqq
October 25, 2018 at 03:34AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন