ঢাকা, ১৮ অক্টোবর- দেশবরেণ্য সংগীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবর কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না জুনিয়র বাচ্চু খ্যাত খুদে শিল্পী রাফসানুল ইসলাম। হাসতে দেখো গাইতে দেখো গানটি গেয়ে সদ্য প্রয়াত গুণীশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর (এবি) নজরে এসেছিলো নেত্রকোনার ছেলে রাফসান। মুগ্ধ হয়ে এবি নিজেই তাকে উপাধি দেন জুনিয়র বাচ্চু। শ্রোতা-ভক্ত সবাই কষ্ট পেলেও রাফসানের কষ্টটা যেন সবার চেয়ে একটু ভিন্ন, একটু আলাদা। কেননা রাফসান জীবনের শুরুতেই তার স্বপ্নের গায়ক গুরু বাচ্চুর সান্নিধ্য পাওয়ার পাশাপাশি তার মন জয় করতে পেরেছিলো। আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর পর রাফসানের খোঁজ নিতে গেলে রাফসানের ব্যান্ড ধোঁয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও গিটারিস্ট কার্জন রায় এসব তথ্য জানান। বাচ্চুর চলে যাওয়ায় রাফসানই শুধু নয় কার্জন নিজেও দারুণভাবে মর্মাহত। গান গাইতে বললেও সেসময় সুর ওঠেনি তার কান্নাভেজা কণ্ঠে। চেষ্টা করেও গিটারে ঠিকঠাক ফেলতে পারেননি আঙুল! পরে চাপা গলায় ইচ্ছাশক্তির বিরুদ্ধেইসঙ্গে কথা বলেন কার্জন। বাচ্চুর মৃত্যুতে ব্যান্ড ধোঁয়ার মাথার ওপর থেকে বিশাল এক ছায়া সরে গেছে বলেও মনে করেন তিনি। এদিকে রাফসান দুঃসংবাদটি শুনে কারো সঙ্গে কথা বলছে না। ঘরের দরজা বন্ধ করে অঝোরে কাঁদছে। গুরু ও তার নিজের স্বপ্ন অপূরণীয় থেকে গেলো বলে আহাজারি রাফসানের। অপূরণীয় স্বপ্ন সম্পর্কে কার্জন জানান, বাচ্চু ভাই কথা দিয়েছিলেন রাফসানকে বিনামূল্যে আটটি গানের কম্পোজিশন করে দেবেন। এটা হতে পারতো ব্যান্ড ধোঁয়ার জন্য আরেক মাইলফলক। গুরু (বাচ্চু) অনেক বড় মাপের শিল্পীই ছিলেন না, অনেক বড় মনের অধিকারীও ছিলেন বলে উল্লেখ করেন কার্জন। এমএ/ ১১:১১/ ১৮ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2PapIU4
October 19, 2018 at 05:21AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top