ঢাকা, ১৮ অক্টোবর- গত কয়েক বছর ধরেই শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর। অনেকটা মনের জোরেই ভক্তদের জন্য মঞ্চে দাঁড়াতেন। প্রাণ উজাড় করে বাজাতেন গিটার। ১৮ অক্টোবর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিথর এই কিংবদন্তি। তখন বাইরে অশ্রুসজল তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী-স্বজনরা। সে গিটার ছাড়া থাকতে পারত না। কিন্তু তার শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়া আরও জরুরি ছিল। মাঝে মধ্যে থামাও দরকার ছিল। তবে এটা এখন সবাই উপলব্ধি করতে পারবেন, তার চলে যাওয়াটা সংগীতের একটি অধ্যায় শেষ হয়ে যাওয়া। বলছিলেন ফিডব্যাকের লাবু রহমান। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে মৃত্যুবরণ করেছেন গুণী এই শিল্পী (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। জনপ্রিয় এই সংগীত শিল্পীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন। আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবরে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সংগীতাঙ্গনের অনেকে এখন হাসপাতালে ভিড় করছেন। কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী, দলছুট ব্যান্ডের বাপ্পা মজুমদার, উপস্থাপক হানিফ সংকেত, অভিনেতা শংকর সাঁওজাল, আফজাল হোসেন, আর্টসেল ব্যান্ডের লিংকন, সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, তপু, রুমি, কোনাল, মাহাদী, তপন চৌধুরী, রফিকুল আলম, প্রিন্স মাহমুদ, ফোয়াদ নাসের বাবু, বাবু রহমান, তপন মাহমুদ, ওয়ারফেইজের টিপু, অবস্কিওরের সাইদ হাসান টিপু, আবিদুর রেজা জুয়েল, কনা, এলিটা, তাপস, অভিনেত্রী বন্যা মির্জা, নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফসহ শত শত মানুষের ঢল নেমেছে হাসপাতাল প্রাঙ্গনে। পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১৬ অক্টোবর রাতে রংপুরে একটি কনসার্ট শেষ করে ১৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকায় ফিরেছেন আইয়ুব বাচ্চু। আজ (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাসায় হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। তড়িঘড়ি তাকে স্কয়ার হাসপাতালে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ২০০৯ সালের তার হৃদযন্ত্রে রিং পরানো হয়েছিল স্কয়ার হাসপাতালে। বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে আবারও গানে ফেরেন। কিন্তু এবার হুট করেই নিভে গেলো তার জীবনপ্রদীপ। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন এমএ/ ০৪:৪৪/ ১৮ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2NO29M9
October 18, 2018 at 10:56PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন