কলকাতা, ০১ অক্টোবর- লক্ষ্মণ শেঠের দুর্গাপুর আই কেয়ার সিটি মেডিকেল কলেজকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ৷ সোমবার এমনই নির্দেশ দেন বিচারপতি অরিন্দম সিনহা৷ বিচারপতি সিনহা এমসিআই, রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার এবং হলদিয়া আই কেয়ার সিটিকে আগামি ১ নভেম্বরের মধ্যেই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন৷ সেই হলফনামায় জানাতে হবে চিকিৎসক পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা কী ভাবছেন৷ ফলে ফের একটু হলেও অস্বস্তিতে পড়লেন লক্ষ্মণ শেঠ। সোমবার বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে মামলার শুনানি চলে৷ এদিন মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী কল্লোল বসু এবং আইনজীবী সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান দুর্গাপুর আই কেয়ার সিটি মেডিকেল কলেজর পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে৷ এমনকী কোনও কোনও বিষয়ে শিক্ষক নেই। অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন পড়ুয়ারা কারণ অধিকাংশ দিন পঠন পাঠনই হয় না। এই সমস্যা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন পড়ুয়া৷ এক মাসের মধ্যে, চলতি বছর অগস্ট মাসে কয়েকজন চিকিৎসক পড়ুয়া হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। সোমবার আইনজীবী কল্লোল বসু ও সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় আরও অভিযোগ করেন যে ২০১১ সালে মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া বা এমসিআই এই কলেজের অনুমোদন দেয়। ২০১১ ও ২০১২ সালের শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রী ভরতি করে আই কেয়ার৷ কিন্তু ২০১৬ সালে নতুন শিক্ষাবর্ষে এমসিআই পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলে নতুন ছাত্রছাত্রী ভরতির অনুমোদন বাতিল করে৷ এরপর সুপ্রিমকোর্ট শর্তসাপেক্ষ রাজ্যে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতে ২০১৬-১৭ বর্ষে ছাত্রছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে অনুমোদন দেয়৷ মামলাকারী ১৫ জন চিকিৎসক পড়ুয়াও এই ২০১৬-১৭ বর্ষে ভরতি হয় আই কেয়ার সিটি মেডিকেল কলেজে৷ এরপরেই এমসিআই আই কেয়ারে পরিদর্শন করতে আসে৷ কিন্তু তখনও কলেজের যে পরিকাঠামোর অভাব ছিল তার কোনও পরিবর্তন হয়নি৷ এমসিআই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করে, যাতে নতুন শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ২০১৭-১৮তে এই মেডিকেল কলেজ ছাত্রছাত্রী ভরতি করতে না পারে৷ ২১শে সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় আই কেয়ার৷ তবে শীর্ষ আদালতে তাদের আবেদন খারিজ করে হয়ে যায়৷ পাশাপাশি কেন্দ্র এবং মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ২০১১ থেকে যে সমস্ত চিকিৎসক পড়ুয়া এই কলেজে রয়েছে, তাদের যেন যথাযথ সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হয় কলেজের পক্ষ থেকে৷ ৮ই ডিসেম্বর ২০১৭ সালে এমসিআই ফের এই কলেজের বিরুদ্ধে নেতিবাচক রিপোর্ট দেয়৷ তারা ফের জানায় পড়াশোনা করার সঠিক পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে কলেজে। এরপর থেকে কলেজের কর্মীরা মাইনে না পেয়ে লাগাতার ধর্মঘটের পথে হাঁটেন৷ এই ধর্মঘটের ফলে পঠন পাঠনের ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয় ছাত্রছাত্রীদের। এরপরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ছাত্রছাত্রীরা৷ তথ্যসূত্র: কলকাতা২৪৭ একে/০৬:৩০/০১ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2y48bCF
October 02, 2018 at 12:33AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন