বিকেলে ব্যাটিং অনুশীলনের পর সন্ধ্যায় ফ্লাড লাইটের আলোয় ফিল্ডিং অনুশীলন করল বাংলাদেশ। মাশরাফি-তামিম-সাকিবরা ফিল্ডিং অনুশীলন করলেন হাতে পাতলা দস্তানা পরে। ম্যাচের আগের দিন ফিল্ডিং অনুশীলন করতে গিয়ে হাতে ব্যথা-ট্যাথা যেন না লাগে, সে কারণেই এই সুরক্ষা। দলের চার ওপেনারের মধ্যে তিনজনের হাতে দস্তানা দেখা গেলেও সৌম্য সরকার ফিল্ডিং করলেন খালি হাতে। কাল ম্যাচ খেলতে হবে না বলেই কি সতর্কতা অবলম্বন খুব বেশি জরুরি মনে করলেন না বাঁহাতি ওপেনার? অবশ্য কে দস্তানা পরে অনুশীলন করলেন আর কে করলেন না, এটা দেখে একাদশের ধারণা পাওয়া শুধু কঠিনই নয়, হাস্যকরও মনে হতে পারে। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্র যা জানাচ্ছে, তাতে এটিকে প্রতীকী ছবিও বলতে পারেন। এ মধুর সমস্যাটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর থেকেই। তামিম ইকবাল তো থাকবেনই। ওপেনিংয়ে তাঁর সঙ্গী কে? এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার পরও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, বাকি দুজনের জায়গা হবে কোথায়? তামিম যদি অটোমেটিক চয়েস হন, বাকি তিন ওপেনারের মধ্যে ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। প্রতি ম্যাচের আগেই বাংলাদেশ দলের একাদশ নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট চেষ্টা করেন একটা রহস্যের জাল বিছিয়ে রাখতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও সেটি থাকছে। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে যেটি শোনা যাচ্ছে, তামিমের সঙ্গে ওপেন করতে পারেন ইমরুল কায়েস। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে তিনে খেলতে দেখা গিয়েছিল সৌম্যকে। কাল সেটি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তিনে লিটন দাসের নামার সম্ভাবনাই বেশি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ডান হাতি বোলারের আধিক্য থাকায় টানা তিন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে খেলাতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট। সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বিন মুর্তজাও বলেছেন, এখানে সমন্বয়ের ব্যাপার আছে। ওপেনিংয়ে ইমরুল শেষ তিনটা ম্যাচেই প্রায় সেঞ্চুরি করেছে। দুটি সেঞ্চুরি, একটা বড় হাফ সেঞ্চুরি আছে। ডানহাতি-বাঁ হাতি কম্বিনেশনটা জরুরি কতটুকু, এটাও দেখতে হবে। ওপেনিংয়ে তামিম-ইমরুল, তিনে লিটন খেললে সৌম্যর একাদশে জায়গা পাওয়াই কঠিন। মাশরাফি অবশ্য এও বললেন, সৌম্য (এশিয়া কাপের) ফাইনালে সাত নম্বরে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছে। বিশ্বকাপের কথা ভেবে আমরা এমন কিছু করতেও পারি। টেস্টে স্পিনারদের ওপর পূর্ণ আস্থা থাকলেও ওয়ানডে এলেই বদলে যায় ছবি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বোলিং আক্রমণে পেসারদের ওপর অগাধ আস্থা টিম ম্যানেজমেন্টের। কাল ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে যে তিন পেসার খেলাতে চান, মাশরাফি সেটি সংবাদ সম্মেলনেই নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু মাশরাফি ও মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে তৃতীয় পেসারটা কে? মাশরাফির কথায় মনে হবে এশিয়া কাপের পর তিন মাস বিরতিতে আবার ওয়ানডেতে ফেরা হচ্ছে রুবেল হোসেনের, রুবেল অসাধারণ। সবার চেয়ে দুর্দান্ত। এশিয়া কাপে সেরা বোলার ছিল। রুবেল যেন তার সেরা জায়গা থেকে পিছিয়ে না যায়। খেলাটা যেহেতু শুরু হবে দুপুরে, শেষ মুহূর্তে যদি টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় বদল আসে, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এমএ/ ০৯:৩৩/ ০৮ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2PrXel0
December 09, 2018 at 05:48AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন