কলকাতা, ১৭ ফেব্রুয়ারি- গত লোকসভা নির্বাচনে প্রবল মোদী হাওয়ায় তাঁর বুক কাঁপেনি৷ রাজ্যজুড়ে দিদির প্রবল পরাক্রমেও তিনি ভয় পাননি৷ কিন্তু এবার কংগ্রেসের সেফ জোন-এ দিদি-মোদী, উভয়েরই যে চোখ পড়েছে তা বুঝতে পারছেন অভিজ্ঞ আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালুবাবু৷ যা তাঁর রাতের ঘুমের ভালই বিঘ্ন ঘটাচ্ছে বলে খবর৷ দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রটি মালদহের পাঁচটি ও মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ও সামশেরগঞ্জ বিধানসভা নিয়ে গঠিত। এখানে দীর্ঘবছর ধরে কংগ্রেসের একটি ভোট ব্যাঙ্ক আছে। কিন্তু গত কয়েকবছর থেকে জেলার সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে। সমীকরণ সবচেয়ে বেশি বদলেছে দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা এলাকাগুলিতে। পাঁচটি ব্লকের একটিও পঞ্চায়েত সমিতি তারা দখল করতে পারেনি। পায়নি একটি জেলা পরিষদ আসনও। সামান্য কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড তারা দখল করতে পেরেছে। এখানে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল। দ্বিতীয় স্থানে আছে বিজেপি। দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পাঁচটি বিধানসভার মাত্র দুজন বিধায়ক এই মুহূর্তে কংগ্রেসের সঙ্গে আছে। স্বাভাবিকভাবেই ডালুবাবুর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে৷ তাই নির্বাচনের আগে দক্ষিণ মালদহে সাংগঠনিক সভায় জোর দিচ্ছেন বর্ষীয়ান সংসদ সদস্য আবু হাসেম খান চৌধুরী। বৈঠকে সংগঠনের হালহকিকত বিস্তরিত যেমন জানছেন সেইসঙ্গে সংগঠন মজবুত করার জন্যও পদক্ষেপ করছেন। তিনি নিজে স্বীকার না করলেও ঘনিষ্ট মহল জানাচ্ছে, এবার ভোটে খুব একটা স্বস্তিতে নেই তিনি৷ আর এই অস্বস্তির যথেষ্ট কারণ আছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা৷ - Advertisement - এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও মালদহ জেলায় ৩৮টি জেলা পরিষদের মধ্যে ২৯টিরই দখল নিয়েছে তৃণমূল৷ বিজেপির দখলে রয়েছে ৬টি৷ আর গণিখানের গড় বলে যে জায়গা নিয়ে কংগ্রেসের প্রবল আত্মবিশ্বাস ছিল সেই মালদহেই মাত্র দুটি জেলা পরিষদ গঠন করেছে তারা৷তারউপর ঘরের মেয়ে মৌসমের তৃণমূলে চলে যাওয়া৷সঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দল তো রয়েইছে৷ এই সব বুঝেই সাত তাড়াতাড়ি আসরে নেমেছেন প্রাজ্ঞ ডালুবাবু। তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন এবার শুধুমাত্র প্রয়াত গনিখান চৌধুরীর নামে ভোট বৈতরণী পার হওয়া কঠিন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে তাই সংগঠনের হালহকিকত জানতে নিজের কেন্দ্রের অঞ্চল ধরে ধরে বৈঠক করতে শুরু করেছেন ডালুবাবু। সূত্রের খবর, বেশ কিছু জায়গায় সাংগঠনিক রদবদলও করেছেন তিনি। যদিও ডালুবাবুর দাবি, পরিস্থিতি একেবারেই তাঁদের প্রতিকূলে নেই। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত ভোট দিয়ে লোকসভা ভোটকে বিচার করা যাবে না। লোকসভা ভোট কোনও স্থানীয় ইস্যুতে হয় না। আর পঞ্চায়েতে তৃণমূল কাউকে ভোট দিতেই দেয়নি৷ কিন্তু লোকসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে৷কংগ্রেসের ভোট ব্যাংক আমাদের সঙ্গেই ছিল, আছে এবং থাকবে৷আমি শুধু সাংগঠনিক পরিস্থিতি যাচাই করতে বৈঠক করছি৷ আর/১০:১৪/১৫ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2T2VNPT
February 17, 2019 at 04:54PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন