ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি- একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে যে বিপুল সংখ্যক তারকা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিল তাদেরকে কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদের অনেকেই সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন না পেলেও তারা যেন হতাশ না হন, তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে থাকেন এবং আওয়ামী লীগের চিন্তা চেতনাকে লালন করেন, সেজন্য পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল রাতে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন তাদের সবাই কিছু পাওয়ার আশায় আসেনি। তারা আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দেখেছে, ভাল কাজ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এসেছে। কাজেই সবাইকে মতলববাজ বা সুযোগসন্ধানী বলা ঠিক হবে না। একটা ভাল পরিবেশ দেখে এসকল তারকারা এসেছে। এদেরকে কাজে লাগাতে হবে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের আদলে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন বা নাটকের তারকাদের আওয়ামী লীগ কাজে লাগাতে চায়। গতকাল প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক উপ কমিটি, শিল্পকলা একাডেমি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তাদেরকে কীভাবে সংযুক্ত করা যায় সেটা খতিয়ে দেখার জন্য দলের সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়াও তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যেন যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়, সে ব্যাপারেও তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র বলেছে। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক তারকা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে অংশগ্রহণ করেছিল। আমরা যে তাদেরকে ডেকে এনেছি তা নয়। বরং আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন। তারা মনে করেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সুখ-সমৃদ্ধির জন্য আওয়ামী লীগকে প্রয়োজন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাদের আবেগ ও অনুভূতি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তিনি জানান যে, মনোনয়ন দেয়াটা একটা রাজনৈতিক বিষয়। সবাই মনোনয়ন পায় না। দল করলেও অনেকে মনোনয়ন পায় না। মনোনয়ন না পেলেই যে হতাশ হতে হবে এমন কোন কথা নেই। বরং বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে আমরা তাদেরকে যুক্ত করবো। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে যে, আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠান হবে। এই কার্যক্রমে কিভাবে তাদেরকে কাজে লাগানো যায় সে পরিকল্পনা আওয়ামী লীগ গ্রহণ করছে। একইভাবে ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানে তারকাদের কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। একটা সময় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ আওয়ামী লীগ থেকে বিমুখ ছিল। তারা কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা চাইতো না। এখন যেহেতু তারা উৎসাহ দেখিয়েছে। এই উৎসাহকে কাজে লাগিয়ে তাদেরকে দল ও সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা জরুরি। কারণ তাদেরকে যদি সম্পৃক্ত না করা হয় তাহলে তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হতে পারে। এই যোগাযোগটা আওয়ামী লীগ অব্যাহত রাখতে চেয়েছে বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে। এমএ/ ০৮:৪৪/ ১০ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2Dr6QbH
February 11, 2019 at 03:00AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন