কলকাতা, ০৫ ফেব্রুয়ারি- সঙ্ঘাতের সূত্রপাত তাঁকে ঘিরেই। তাঁর বাড়ি থেকেই কার্যত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ধর্নায় বসে পড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রাজীব কুমারকেও ধর্না শুরুর পর থেকেই মঞ্চের আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও তার কোনও ব্যতিক্রম হল না। শীর্ষ আদালত রায় দিতেই চলে এলেন ধর্না চত্বরে। পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেও রাজনৈতিক শিবিরে জল্পনা ছড়িয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বা রাজীব কুমার কেউই বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেননি। সিবিআইয়ের জেরায় হাজির হতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। তবে দিল্লি বা কলকাতা নয়, নিরপেক্ষ জায়গা হিসেবে শিলংয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আবার সিবিআই-এর আদালত অবমাননার মামলাতেও রাজীব কুমারকে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। রায়ের পর ধর্নামঞ্চ থেকে বক্তব্য এবং সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী চলে যান মঞ্চের পিছনে পুলিশের আউটপোস্টে। কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, ওই আউটপোস্ট থেকে বেরিয়ে আসছেন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। কিন্তু তিনি কখন এসেছিলেন, তা কারও নজরে পড়েনি। অনেকেই মনে করছেন, সংবাদ মাধ্যমের নজর এড়িয়ে তিনি পিছন দিক দিয়ে ওই আউটপোস্টে চলে আসেন। এর পর আউটপোস্ট থেকে বেরিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রীও। এ থেকেই রাজনৈতিক শিবিরে গুঞ্জন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা বৈঠক হয়েছে পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে দুজনের আলোচনার সম্ভাবনাও প্রবল। যদিও এ নিয়ে নীরব উভয় পক্ষই। মঙ্গলবার সকালের দিকেও অবশ্য এক বার তিনি ধর্না চত্বরে এসেছিলেন। তবে তখন সাদা পোশাকে ছিলেন রাজীব কুমার। ধর্নার গোড়া থেকেই রাজীব কুমারের নিয়মিত উপস্থিতি চোখে পড়েছে ধর্না চত্বরে। মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি সেখানে চলে আসেন। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশের চেয়ারে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। কখনও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ আলোচনাও করেছেন। পরের দিন সোমবার আবার ছিল কলকাতা পুলিশের বাৎসরিক মেডেল দানের অনুষ্ঠান। ফলে সোমবার দিনভর তাঁর ধর্না চত্বরে থাকার কারণও ছিল। এর পর মঙ্গলবার সকালেও এক বার ধর্না মঞ্চে এসেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আবার তিনি চলে আসেন ধর্না চত্বরে। কিন্তু তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। পুলিশ কমিশনার হিসেবে মমতার রাজনৈতিক ধর্নামঞ্চে যেতে পারেন কি না, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু সে সবে তিনি কার্যত কর্ণপাতই করেননি। এমনকি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও যে সেই অবস্থান থেকে সরেছেন, বা সরবেন, এমন ইঙ্গিত মেলেনি। বরং রাজীব কুমার যে আগের অবস্থানেই অনড়, সেটাই স্পষ্ট। এইচ/১৯:৫৪/০৫ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2SdO4yA
February 06, 2019 at 01:59AM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
মাওবাদী হানায় মৃত তথা নিখোঁজ ৪ জনের পরিবারকে নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
07 Oct 20200টিকলকাতা, ৭ অক্টোবর- কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারের ঘোষণা মতোই ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক সভা থেকে মাও...আরও পড়ুন »
ডেমোক্রেসির বদলে বাংলায় মমতাক্রেসি চলছে
06 Oct 20200টিকলকাতা, ৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মণীশ খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ
06 Oct 20200টিকলকাতা, ০৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি ব...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র বারাকপুর
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপির দাপুটে নেতা মণীশ শুক্লাকে খুনের ঘটনায় সোমবার সকাল থেক...আরও পড়ুন »
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের মণীশ শুক্লা নামে এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে ...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.