আলিপুরদুযার, ৫ মার্চঃ পড়ুয়া কমতে কমতে একটা সময় শূন্যে এসে দাঁড়িয়েছিল। বন্ধ হতে বসেছিল একের পর এক স্কুল। ফলে এতদিন কার্যত বসে বসেই বেতন পেতেন শিক্ষকরা। স্কুলগুলির হাল ফেরাতে সম্প্রতি উদ্যোগী হয় আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। পাঁচটি স্কুলে ইংরেজিমাধ্যম চালু করে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। গত জানুযারি মাসে স্কুলগুলিতে প্রাক্ প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণিতে ইংরেজিমাধ্যম চালু হতেই এখন উপচে পড়েছে পড়ুয়াদের ভিড়। ভিড় এতটাই বাড়ছে যে এখন আর নতুন করে কাউকে ভরতি করতে সাহস পাচ্ছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ।
আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার কলেজিয়েট স্কুল ও ম্যাকউইলিয়াম আর আর প্রাথমিক স্কুল একটা সময় পড়ুয়াদের ভিড়ে গমগম করত। এই স্কুলগুলিতে এখনকার শহরের বহু কৃতী মানুষ পড়াশোনা করেছেন। কিন্ত নানা কারণে স্কুল দুটিতে পড়ুয়ার সংখ্যা দিনদিন কমতে থাকে। একটা সময় পড়ুয়াশূন্য হয়ে পড়ে দুটি স্কুল। কলেজিয়েট স্কুলটি পড়ুয়া না থাকায় প্রায় অলিখিতভাবে তা বন্ধই হয়ে যায়। এখানকার শিক্ষকরা বসে বসেই বেতন পেতেন বলে অভিযোগ। ফালাকাটা ও বীরপাড়ার দুটি স্কুলেও একই অবস্থা দেখা দেয় বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার শহরের কলেজিয়েট স্কুল, ম্যাকউইলিয়াম আর আর প্রাথমিক এবং শান্তিনগর আর আর প্রাথমিক সহ ফালাকাটার ২ নম্বর স্টেট প্ল্যান প্রাথমিক স্কুল ও বীরপাড়ার লেবার ওয়েলফেয়ার স্কুলকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে জানুযারি মাসে সেগুলিতে ইংরেজিমাধ্যমে পঠনপাঠন শুরু করতে ডিপিএসসি রীতিমতো লিফলেট বিলি করে, মাইকে করে ইংরেজিমাধ্যমে ছাত্র ভরতির প্রচার চালায়। এর জন্যে ওই স্কুলগুলিতে বেছে বেছে কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ইংরেজির ট্রেনিংও দেওয়া হয়। ভরতি প্রক্রিয়া শুরু হতেই স্কুলগুলিতে উপচে পড়তে থাকে পড়ুয়াদের ভিড়।
ডিপিএসসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এক-একটি স্কুলে এখন প্রায় ১২০ থেকে ১৫০ জন পড়ুয়া ভরতি হয়েছে। অনেকেই ভরতি হতে চাইলেও জায়গা না থাকায় সম্ভব হচ্ছে না। আলিপুরদুয়ার ডিপিএসসির চেয়ারম্যান অনুপ চক্রবর্তী বলেন, একটা সময় পড়ুয়ার অভাবে জেলার পাঁচটি স্কুল প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল। সম্প্রতি স্কুলগুলির প্রাক্ প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণিতে ইংরেজিমাধ্যম চালু করায় এখন পড়ুয়াদের ভিড় উপচে পড়ছে। পরিকাঠামো না থাকায় আমরা সবাইকে ভরতি নিতে পারছি না। তবে স্কুলগুলিতে নতুন বিল্ডিং তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই শিক্ষা দপ্তরে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি শীঘ্রই টাকা পেয়ে যাব।
জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) শ্যামল রায় বলেন, নতুন ইংরেজিমাধ্যম চালু হওয়া স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের ভরতি করতে অভিভাবকদের মধ্যে প্রায় প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কিন্তু জায়গার অভাবে আমরা সবাইকে নিতে পারছি না। তবে কোনো পড়ুয়াই যাতে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। আগামী বছর থেকে ইংরেজিমাধ্যম চালু হওয়া স্কুলগুলিতে একটি করে শ্রেণি বাড়াবার প্রস্তাব আমাদের আছে।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2NHyKoj
March 05, 2019 at 03:53PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন