খোকন সাহা, বাগডোগরা, ২০ মার্চঃ মাটিগাড়া ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়ে এলাকায় কোনো ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকায় বাসিন্দাদের ভোগান্তির সীমা নেই। আবর্জনা ফেলার জায়গা না পেয়ে বাসিন্দারা অনেকেই যেখানে-সেখানে তা ফেলেন। বিশেষ করে বাসিন্দাদের অনেকেই বাগডোগরার বুড়ি বালাসন, হুলিয়া ও আঠারোখাইয়ে মাগুরমারি নদীগুলিকে অলিখিত ডাম্পিং গ্রাউন্ড বানিয়ে ফেলেছেন বলে অভিযোগ। অবশেষে এই সমস্যা মিটতে চলেছে। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ)-র উদ্যোগে আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শিসাবাড়িতে প্রায় সাড়ে ২০ একর জমি জুড়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ড ও সলিড ওয়েন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প গড়ে উঠছে। ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তরের তরফে প্রথমে এই জমিটি পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরকে হস্তান্তর করা হয়। পরে তা এসজেডিএ-কে হস্তান্তর করা হয় বলে মাটিগাড়ার ভূমি ও ভূমিসংস্কার আধিকারিক দুর্জয় রায় জানান।
এসজেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে প্রকল্পের ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শুরু হবে। এসজেডিএর সিইও এস পুনমবালম বলেন, ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য বেছে নেওয়া জমিটি যাতে কোনোভাবেই দখল না হয় সেজন্য সেটির চারিদিকে প্রাচীর দেওয়া শুরু হয়েছে। ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, মাটিগাড়া ব্লকের অন্তর্গত মাটিগাড়া-১, মাটিগাড়া-২, পাথরঘাটা, আঠারোখাই ও চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়ে এলাকায় কোনো ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকায় এখানকার বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হয়। একই সমস্যা রয়েছে লোয়ার বাগডোগরা এলাকাতেও।
সমস্যা মেটাতে এসজেডিএর চেযারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী গত বছরই এই ব্লকে একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তিনি প্রয়োজনীয় জমি খুঁজতে দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। শিসাবাড়িতে খাসজমি রয়েছে বলে মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা ভোলা ঘোষ সৌরভবাবুকে জানান। তিনি জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র দিয়ে সৌরভবাবুকে অবগত করলে জমিটি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি হলে মাটিগাড়া ব্লক তো বটেই, লোযার বাগডোগরার আবর্জনাও এখানে এনে ফেলা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তর সূত্রে খবর, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজে লাগতে পারে এমন আরও প্রায় ২০ একর জমি এখানে রয়েছে। এসজেডিএর সিইও বলেন, ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জমির আবর্জনা কঠিন বর্জ্য প্রক্রিযাকরণের কাজেও লাগানো হবে। এতে বাসিন্দাদের সমস্যা মেটার পাশাপাশি সংস্থার আর্থিক উন্নতিও হবে বলে তিনি জানান।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2Fns5x1
March 20, 2019 at 01:28PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন