কলকাতা, ২১ এপ্রিল- বাংলাদেশের ছেলে নোবেল। সারেগামাপার মাধ্যমে পরিচিত পায় দেশ বিদেশ জুড়ে। নোবেলের তৈরি হয় ভক্ত-শুভাকাঙ্খি। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের শিল্পীদের উপরে নজর রাখছেন ভারত সরকার। গত সপ্তাহে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের ভিসা বাতিল করে দেশে ফেরত পাঠায় দেখটি। এরপর অভিনেতা নুরকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। প্রতি শনি ও রবিবার ভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলে প্রচার হয় সারেগামাপা অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান নিয়ে এক যুবক তার নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হচ্ছে:- বিষয়টা ভীষণ দৃষ্টিকটু লেগেছে। সারেগামাপায় আজ নোবেলকে এক বিচারকের কমন নম্বর দেয়া আমার ভীষণ দৃষ্টিকটু লেগেছে। মাথার ভেতর খচখচ করছে। এমন হলে না লেখা পর্যন্ত আমার স্বস্তি হয় না। তাই লিখছি। পাশাপাশি সারেগামাপা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রথমেই বলি আমি টিভি দেখা প্রায় ছেড়ে দিয়েছি। একসময় কলকাতার দর্শকরা বাংলাদেশের অনুষ্ঠান দেখতো, এখন বাংলাদেশের দর্শকরা ভারত বা কলকাতার অনুষ্ঠান দেখে। টিভি না দেখলেও আমি গান শুনি। আর সেই কারণে অনিয়মিত হলেও প্রতি শনিবার ও রোববার রাতে সারেগামাপা দেখার চেষ্টা করি। অনেক সময় পারি না। অনেক সময় পারি। যখন পারি তখন আমার কাছে গানের এই অনুষ্ঠানটাকে মনে হয়, সপ্তায় ঘন্টাখানেকের স্বস্তি বা রিল্যাক্সেশন। আর তাই সেখানে কোনো অসামঞ্জস্য দেখলে ব্যথিত হই। আজ যেমন হয়েছি। বাংলাদেশের যারা সারেগামাপা দেখেন তাদের সবার নিশ্চয়ই বাংলাদেশি শিল্পি নোবেলের গান ভালো লাগে। তবে বলতে দ্বিধা নেই সারেগামার চূড়ান্ত পর্বে এখন যারা আছেন তাদের সবার গান অসাধারণ। যে কেউ প্রথম দ্বিতীয় হতে পারেন। কিন্তু বিচারকদের যেন কারও প্রতি পক্ষপাতিত্ব না থাকে যেমনটা আজকে দেখলাম। নোবেল বরাবরের মতোই অসাধারণ গান গাইলো। মহীন ঘোড়াগুলির তারারাও যতো আলোকবর্ষ দূরে গানটা এমনিতেই ভালো গাইলো পাশাপাশি সুমনের সাথে মাঝি দে পাল তুলিয়া গানটাও অসাধারণ গাইলো। অনুষ্ঠানের তিনজন বিচারকই নোবেলের গানের প্রশংসা করলেন। অন্যদিকে সুমনের কিছুটা সমালোচনা করলেন। অথচ কী অবাক কাণ্ড সুমন আর নোবেলকে একই পাল্লায় মেপে দুজনেকই ১০ এ ৯ দিলেন সম্মানিত বিচারক শ্রীকান্ত আচার্য। আমি খুব অবাক হলাম, বাকি দুই বিচারক মোনালি ঠাকুর আর শান্তনু মৈত্র যেখানে নোবেলকে ১০ এ দশ দিলেন সেখানে শ্রীকান্ত আচার্য নোবেলের এতো প্রশংসা করেও কেন ৯ দিলেন কিছুতেই বুঝলাম না। তার কাছে সুমন আর নোবেল দুজনেই আজকে সমান? তার মানে বেশি ভালো আর কম ভালো গাইলেও একই নম্বর? বাংলাদেশের অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, শুধু বাংলাদেশি বলেই হয়তো চূড়ান্ত বিচারে নোবেলকে প্রথম নাও করা হতে পারে। আবার দর্শক টেনে রাখতে তাকে হয়তো শেষ পর্যন্ত রাখা হবে কিন্তু প্রথম করা হবে না। আমি এই ধরনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে চাই। সারেগামাপা কর্তৃপক্ষকে বলতে বাধ্য হচ্ছি, আজকে নোবেলকে নম্বর কম দেওয়ার বিষয়টি সাধারণ যে কোনো দর্শককে আহত করবে। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে সব বিচারক আরও সতর্ক হবেন। যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দিন। ভালো গান গেয়ে যে কেউ প্রথম দ্বিতীয় হোক। এখানে যেন ভারতীয়, বাংলাদেশি, গুজরাটি এমন বিভক্তি না করা হয়। আমি বিশ্বাস করতে চাই সারেগামাপা গানের অনুষ্ঠানটা দুই বাংলার মানুষের মধ্যে ভালোবাসাটা আরও বাড়াবে যেই চেষ্টাটা প্রয়াত কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য সবসময় করতেন। আমি বিশ্বাস করি চলচ্চিত্র, শিল্প, গান এসব মানুষকে মননশীল করে। সুন্দর করে। আশা করছি আমাদের সবার মধ্যে বোধগুলো আরও জাগ্রত হবে। আশা করছি সারেগামাপার মতো অসাধারণ গানের অনুষ্ঠান আরও বেশি বেশি হবে। ভাতৃত্ব বাড়াবে দুই বাংলায়। তৈরি করবে অনেক অনেক শিল্পী। ভালো থাকুন সবাই। আর/০৮:১৪/২০ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2Zoi1Ml
April 21, 2019 at 05:05PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন