গত পাঁচ মাসে দেশের দেশের সংগীত, নাটক ও চলচ্চিত্র জগতের নয়জন তারকা না ফেরার চলে গেছেন। গায়ক সুবীর নন্দী : গত ৭ মে মারা যান আধুনিক বাংলা গানের অন্যতম পুরোধা সুবীর নন্দী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি রোগে ভুগছিলেন। এ জন্য নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাচ্ছিলেন। গত ১৪ এপ্রিল সিলেট থেকে ট্রেনে ঢাকায় ফেরার পথে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে শিল্পীর হার্ট অ্যাটাক হয়। এরপর তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ১৬দিন সিএমএইচে চিকিৎসাধীন থাকার পর ৩০ এপ্রিল উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। সেখানকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনি ও রোববার দুই দফায় তার হার্ট অ্যাটাক হয়। তার একদিন পর ৭ মে ভোরে না ফেরার পারি জমান সুবীর নন্দী। সংগীতে বিশেষ অবদান রাখায় একুশে পদক ও দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন কিংবদন্তি এই গায়ক। কৌতুক অভিনেতা আনিস : ১৯৬০ সালে অভিনয়ে আসা কমেডি তারকা আনিস মারা যান ২৮ এপ্রিল। বার্ধক্যজনিত কারণে রাজধানীর টিকাটুলির বাসায় ৭৮বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ক্যারিয়ারে আড়াইশর মতো ছবিতে তিনি কৌতুক অভিনেতা হিসেবে খ্যাতির সঙ্গে অভিনয় করেছেন। কিছু ছবিতে আবার আনিসকে খল চরিত্রেও দেখা গেছে। গীতিকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল : হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়েই চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি আফতাবনগরে নিজ বাসায় মারা যান কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন এই মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী। তিনি একুশে পদক ও দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। পরিচালক নির্মাতা সাইফুল আজম কাশেম : গত ১১ মার্চ পৃথিবী ছেড়ে যান এই গুণি শিল্পী। এর আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ১মার্চ সাইফুল আজমকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তার অস্ত্রোপচারও হয়। এর ১০দিন পর অ্যাপোলোতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ক্যারিয়ারে হালচাল, স্বামীর আদেশ, ভরসা, ত্যাজ্যপুত্রসহ বেশ কিছু ভালো মানের ছবি তিনি নির্মাণ করেছেন। কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ : গত ২৩ মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বারিধারার বাসায় মৃত্যুবরণ করেন খ্যাতিমান গায়িকা শাহনাজ রহমতুল্লাহ। ক্যারিয়ারে বহু জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক ও সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। বিবিসির করা একটি জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে তার গাওয়া চারটি গান স্থান পায়। তার ঝুলিতে আছে একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, শিল্পকলা একডেমি পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ আরো অনেক সম্মাননা। গীতিকার আহমেদ কায়সার : গত ১ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন গীতিকার আহমেদ কায়সার। এদিন পটুয়াখালীর চরখালী গ্রামে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। আহমেদ কায়সার দীর্ঘ দিন হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। রম্য অভিনেতা টেলি সামাদ : গত ৬এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদ তাদের একজন। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অভিনেতার খাদ্যনালীতে সমস্যার পাশাপাশি বুকে ইনফেকশন ছিল। এ জন্য ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে তার বাইপাস সার্জারি করা হয়েছিল। নির্মাতা হাছিবুল ইসলাম মিজান : ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মারা যান খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা হছিবুল ইসলাম মিজান। ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি অচেতন অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিলেন। পরে চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাছিবুল ইসলাম মিজানের মৃত্যু হয়েছে। তার কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না বলে তার মেয়ে শর্মিলা ইসলাম সুমি জানিয়েছিলেন। অভিনেতা সালেহ আহমেদ : নাট্য ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সালেহ আহমেদ মারা যান ২৪ এপ্রিল। ওইদিন বেলা আড়াইটায় তিনি রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩বছর। ২০১১ সালে স্ট্রোক করার পর থেকেই তার শরীর ভালো যাচ্ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। অভিনয়ে অসামান্য অবদানের জন্য দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক পান সালেহ আহমেদ। এমএ/ ০৪:২২/ ১১ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2PV9I6i
May 11, 2019 at 10:36PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন