কলকাতা, ২১ মে- চলে গেলেন প্রফেসর নাটবল্টু চক্রর স্রষ্টা, এবং বাংলা কল্পবিজ্ঞানের আকাশে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র অদ্রীশ বর্ধন৷ সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বার্ধক্যজনিত কারণে গত কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন অদ্রীশ বর্ধন৷ বাংলায় কল্পবিজ্ঞান লেখা শুধু নয়, সাধারণ বাঙালি পাঠক-পাঠিকার মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা জাগিয়ে তোলার কাজেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন অদ্রীশ বর্ধন। এমনকি কল্পবিজ্ঞান শব্দবন্ধের জন্মদাতাও তিনি। তার আগে বাংলায় ছিল স্রেফ বিজ্ঞানভিত্তিক কাহিনী। বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা বা বিজ্ঞানে বাংলার অবদানের প্রতি বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তাঁর কলম। তাঁর লেখায় কঠিনতম বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও হয়ে উঠত সাধারণ মানুষের বোধগম্য, তা তিনি যে বয়সেরই হোন না কেন। ইন্দ্রনাথ রুদ্র, ফাদার ঘনশ্যাম, প্রফেসর নাটবল্টু চক্র, রাজা কঙ্ক, জিরো গজানন, নারায়ণী, এবং চাণক্য চাকলা তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলির অন্যতম। কল্পবিজ্ঞান লেখক হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছলেও, অদ্রীশ বর্ধন প্রথম লেখা শুরু করেন গোয়েন্দা কাহিনী। সৃষ্টি করেন যথাক্রমে ইন্দ্রনাথ রুদ্র এবং নারায়ণী নামক পুরুষ ও মহিলা গোয়েন্দা। এরপর ক্রমশ বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে তাঁর ক্ষেত্র। বিজ্ঞান, কল্পবিজ্ঞান, অতীন্দ্ৰিয় জগৎ, বা অতিপ্রাকৃত শুধু নয়, অনুবাদ সাহিত্যেও অমূল্য অবদান রয়েছে তাঁর। বিশেষভাবে উল্লেখ্য অদ্রীশ বর্ধন অনূদিত শার্লক হোমস, জুল ভার্ন, এবং এডগার অ্যালেন পো রচনাসমগ্র। ১৯৬৩ সালে অদ্রীশ বর্ধন প্রকাশ করেন ভারতের প্রথম কল্পবিজ্ঞান-পত্রিকা আশ্চর্য। এর পরে সম্পাদনা করেন ফ্যানটাসটিক পত্রিকার। দুটিই বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করলেও পরে বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু একসময় বাংলা ভাষার অসংখ্য নামীদামি সাহিত্যিক এই দুই পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। আর এস/ ২১ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2Jw70Um
May 21, 2019 at 06:03PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন