ঢাকা, ০৭ মে- থেমে গেলো বাংলা সংগীতের আরো একটি কিংবদন্তি কণ্ঠস্বর। যে কণ্ঠে শোনা যেত কতো যে তুমাকে, একটা ছিলো সোনার কন্যা, প্রেমের নাম বেদনা,আমার এই দুটি চোখ,কিংবা ও আমার উড়াল পঙ্খীরের মতো অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান, সেই সুরেলা কণ্ঠের মানুষটি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। অথচ মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত গানেই বাঁচতে চেয়েছিলেন তিনি। সুবীর নন্দীকে নিয়ে তেমন আরো একটি উদাহরণ টানলেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। সুবীর নন্দীকে চাচা বলে ডাকতেন তিনি। চাচা ডাকলেও তিনি ছিলেন ফাহমিদার পিতৃতুল্য একজন মানুষ। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর মৃত্যু খবর শুনে শোকাহত ফাহমিদা। তবে আপনজনের হারানোর শোক সামলে একটি মধুর স্মৃতিচারণ করেছেন ফাহমিদা নবী। ফাহমিদা নবীর উপস্থাপনায় একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন সুবীর নন্দী। আর সেই অনুষ্ঠানে সুবীর নন্দী জানিয়েছিলেন তার শেষ ইচ্ছের কথা। সুবীর নন্দীর মৃত্যুর পর সেই ঘটনাটিই স্মৃতি থেকে সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন ফাহমিদা। ফাহমিদার ভাষায়: কাকাকে নানান কথা বলতে গিয়ে সেদিন বলেছিলাম, কাকা একটা ইচ্ছার কথা বলেনতো? একটু আবেগ ভরা কন্ঠে তিনি বলেছিলেন,আমার শেষ ইচ্ছা আমার মৃত্যুর পর কেউ যেন না কাঁদে, আমি চাই আমার শবদেহের পাশে সবাই যেন আমাকে গান শোনায়। সুবীর নন্দীর মৃত্যুর খবরে শোকার্ত গোটা দেশের মানুষ। ফাহমিদার মতে শুধু গান গাইলেই হয় না, সুবীর নন্দীর আচরণ ও বিনয়ের কারণেও তার মৃত্যুতে পুরো বাংলাদেশ তাকে স্মরণ করছে বলেও মনে করেন তিনি। ফাহমিদা নবী বলেন, সংগীত পাগল মানুষটি গান গান করেই কাঁদিয়ে চির বিদায় নিলেন! শুধু গান গাইলেই শিল্পী হয়ে মানুষের মনে জায়গা করা যায়না। বিনয়ী, ধৈর্যশীল, রুচিশীল এবং নিরঅহংকার হতে হয়, সুবীর কাকা তাই ছিলেন। একজন প্রকৃত শিল্পী। তাইতো আজ তার ভক্তরা কাঁদছেন! কাকা। আপনার গান বাঁচিয়ে রাখবে আপনাকে। ১২ এপ্রিল পরিবারের সবাই মিলে মৌলভীবাজারে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন সুবীর নন্দী। সেখান থেকে ১৪ এপ্রিল ঢাকায় ফেরার ট্রেনে ওঠার জন্য বিকেলে মৌলভীবাজার থেকে শ্রীমঙ্গলে আসেন তারা। ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভাগ্যক্রমে সেখানে একজন চিকিৎসক থাকায় তার পরামর্শে সুবীর নন্দীকে নিয়ে তাঁরা ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দ্রুত সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর কোনো উন্নতি না হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ৩০ এপ্রিল সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় সুবীর নন্দীকে। কিন্তু সুস্থ হয়ে আর প্রিয় জন্মভূমিতে ফেরা হলো না তার। মঙ্গলবার (৭ মে) ভোর সারে চারটায় সুবীর নন্দীর মৃত্যু সংবাদটি ফোনে জানান সিঙ্গাপুরে সুবীর নন্দীর সাথে থাকা তার মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী। এর আগে সিঙ্গাপুর নেয়ার পর গত দুদিনে (শনিবার ও রবিবার) তিনবার হার্ট অ্যাটাক হয় তার। এমএ/ ০৯:০০/ ০৭ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2Vi16g9
May 08, 2019 at 03:04AM
07 May 2019

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top