কলকাতা, ১ জুলাই - সিদুঁর ও টিপ মাথায় শপথ নিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান৷ ইতিমধ্যেই মুসলিম কট্টরপন্থীদের কটাক্ষের শিকার সদ্য বিবাহিতা ওই সাংসদ৷ তবে, তাঁকে তোপদাগার নিন্দায় সরব বিজেপি সহ নানা রাজনৈতিক দলের সাংসদরা৷ কিন্তু, এখনও মুখ খোলেনি নুসরতের নিজের দল তৃণমূল৷ চুপ দলের সুপ্রিমোও৷ এই পরিস্থিতিতে বসিরহাটের সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে ঘটনার নিন্দায় মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু বলার আবেদন করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ নুসরতের বিরুদ্ধে দেওবন্দের সুন্নি সংগঠন দার-উল-উলুমের ইমাম মুফতি আসাদ ওয়াসমির ফতোয়া প্রসঙ্গে হুগলির সাংসদ বলেন, সিঁদুর পরবেন নাকি শাঁখা পরবেন, শপথ গ্রহণে কী পোশাক পরবেন সেটাও কি জিজ্ঞাসা করে পরতে হবে। এরপরই তাঁর সংযোজন, মুখ্যমন্ত্রীর নুসরতের পাশে দাঁড়ানো উচিত। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ঠিক না। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের এই দাবির পেছনে রয়েছে গভীর রাজনৈতিক কৌশল৷ এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ তাদের মতে, লোকসভায় এবার মেরুকরণের ভোট দেখেছে বাংলা৷ হিন্দু ভোটের বড় অংশ ভোট দিয়েছেন বিজেপিকে৷ উলটো দিকে, রাজ্যের অধিকাংশ মুসলিম ভোটারই আস্থা রেখেছেন তৃণমূলের উপর৷ যা নিয়ে বিজেপির কটাক্ষ ধেয়ে এসেছে মমতার দিকে৷ ভোটের পর তৃণমূল নেত্রীর দুধেল গাই মন্তব্য ছিল তার জবাব৷ মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন এরাজ্যে সংখ্যালঘুদের প্রতি সরকার বৈমাত্রিক আচরণ করবে না৷ তবে, নুসরতের বিরুদ্ধে ফতোয়া নিয়েও মুখ খোলেনি বাংলার শাসক দল৷ কিন্তু কেন? লকেটের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ খুলুন আবেদনের মধ্যেই উহ্য রয়েছে সেই প্রশ্ন৷ তৃণমূল নেত্রী মুখ না খুললে, তা প্রচারে কাজে লাগাবে গেরুয়া শিবির৷ একমাথা সিঁদুর, কপালে টিপ ও হাতে চূড়া নিয়ে নিজেকে নুসরত জাহান রুহি জৈন বলে পরিচয় দেন সাংসদ। তার কিছুদিনের মধ্যে নুসরতের সমালোচনা করে ইমাম বলেন, ইসলামে একজন মুসলিমের শুধু একজন মুসলিমকেই বিয়ে করার অধিকার আছে। এমনকী ইমাম এও বলেছেন, নুসরত একজন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীরা ধর্ম মানেন না। যা ইচ্ছা তা করেন। এরপরই সরব হন বিজেপি ভোপালের সাংসদ সাধ্বী প্রাচী৷ বাংলা থেকে নির্বাচিত দুই প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরীও ঘটনার নিন্দা করে নুসরতের পাশে দাঁড়ান৷ তৃণমূলেরই আরেক অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তিনি নুসরতের পাশে রয়েছেন৷ আর নুসরত নিজে ট্যুইট করে জানান, তিনি বহুবাদী ভারতের সদস্য। লেখেন, জাত ধর্ম ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে যে ভারত, আমি সেই ভারতের প্রতিনিধিত্ব করি। আমি সমস্ত ধর্মকে সম্মান করি। আমি এখনও মুসলিমই আছি। আর আমি কী পরব সে ব্যাপারে অন্য কারও মন্তব্য করাই উচিত নয়। বিশ্বাস পোশাকের উপরে। বিশ্বাস মানে, সমস্ত ধর্মেরই সুশিক্ষাগুলিকে গ্রহণ করে তা পালন করা। এন এইচ, ১ জুলাই.
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2xkUkrp
July 01, 2019 at 09:18AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন