কলকাতা, ০৪ অক্টোবর - চলচ্চিত্র জগত থেকে রাজনীতি। দীর্ঘদিন ধরে অন্তর্ধানে ছিলেন জনপ্রিয় বলিউড ও টলিউড অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এবারে সেই মিঠুন চক্রবর্তী ফের রাজনীতিতে আসার জল্পনা উস্কে দিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) সদর দফতরে দেখা গেলো তাকে। আর তার পর থেকেই মিঠুনের গেরুয়া শিবিরে যোগদানের জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে তিনি তৃনমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। কিন্ত পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে বড়ো বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থা সারদা কাণ্ডে নাম জড়ানোর পরেই নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের দফতরে আচমকা হাজির হয়ে যান বিখ্যাত এই অভিনেতা। তারপর সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। আরএসএসের সদর দফতরে থাকাকালীন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেন মিঠুন। মিঠুনকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি তার হাতে সংঘের তরফে একটি ফটো ফ্রেমও তুলে দেন আরএসএসের কর্মকর্তারা। পরে আর এস এসের নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করে সেখান থেকে ফিরে যান মিঠুন চক্রবর্তী। তবে আচমকা আরএসএসের দফতরে তার এই ঝটিকা সফর ঘিরে রাজনৈতিক মহলে কল্পনা চড়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে প্রশ্ন দেখা দিতে শুরু করেছে, একসময় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তৃনমূল কংগ্রেসের সাবেক রাজ্যসভার সাংসদ কেন গেলেন আরএসএসের আতুড়ঘরে? তবে কি তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন? আর তাই যদি হয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গে তৃনমূল কংগ্রেসের যে রাজনৈতিক ময়দানে অনেকটাই ক্ষতি হয়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত, একসময় সিপিএম ঘনিষ্ঠ ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গের প্রয়াত এক সিপিএম নেতার (সুভাষ চক্রবর্তী) সঙ্গেও তার যথেষ্ট ভালো সুসম্পর্ক ছিলো। পরে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা পরিবর্তন হলে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি হয় তার। তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদও হন তিনি। তবে বেশ কিছুদিন ধরে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিলো না মিঠুন চক্রবর্তীকে। শোনা গিয়েছিলো, তিনি অসুস্থ রয়েছেন। লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন। এদিনও তার মুখে মাক্স পরে থাকতে দেখা যায়। তবে এদিন কেন তিনি আরএসএসের সদর দফতরে গেলেন তা স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, সারদাকাণ্ডে মিঠুন চক্রবর্তী ছিলেন একমাত্র অভিযুক্ত যিনি ইডির দফতরে গিয়ে সারদার টাকা ফেরত দিয়ে এসেছিলেন। তারপর থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেন। রাজনীতি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে তৃনমূলের রাজ্যসভার পদ থেকেও ইস্তফা দেন। যদিও অসুস্থতার জন্য তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান বলেই জানিয়েছিলেন। তবে এতোকিছুর পরেও কেন এদিন মিঠুন আরএসএসের সদর দফতরে গেলেন সেটাই এখন রাজনৈতিক মহলের সব থেকে বড়ো আগ্রহের বিষয়। এন এইচ, ০৪ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2InUcxh
October 04, 2019 at 08:32AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন