কলকাতা, ০৬ নভেম্বর - দিল্লির দূষণের মাত্রার কাছাকাছি পৌছে গেল কলকাতা। সোমবার দুপুর বারোটায় শহরের রবীন্দ্রভারতী ও ফোর্ট উইলিয়ামে প্রতি ঘনমিটারে পিএম ২.৫ এর মাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল যথাক্রমে ৩৩১ এবং ৩২৪। যাদবপুর ও বালিগঞ্জে এই মাত্রা পৌছেছিল ৩১২ ও ৩০৩। স্বভাবতই মহানগরের পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সোমবার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ল কলকাতা পুরসভা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় এই কমিটির প্রধান। ১৩ জনের এই কমিটিতে রয়েছেন খড়গপুর আইআইটি, যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকরা। কমিটিতে আছেন অধ্যাপক সুদর্শন নাগ, ভার্গব মিত্র, সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের মতো দেশের নামী পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। দূষণ রুখতে চটজলদি ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা করে মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শীত শুরুর আগেই কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা নিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। এছাড়া পরের ৪৫ দিনের মধ্যে কলকাতায় কী কী দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তার সুপারিশ চাওয়া হয়েছে। পরিবেশ দূষণ চিরস্থায়ী বন্ধে মুখ্যমন্ত্রী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও মেয়র জানান। এক বছর আগেই রাজ্য সরকারের পরিবেশ দপ্তর শহরের দূষণ বন্ধে একগুচ্ছ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তর অধিকাংশই কার্যকর করা সম্ভব হয়নি বলে পরিবেশ দফতরই স্বীকার করে নিয়েছে। উল্টে শহরের দূষণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিশেষ করে এদিনই ময়দানের কেন্দ্রবিন্দু ফোর্ট উইলিয়ামে নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের যে যন্ত্র বসানো আছে সেখানে চমকে দেওয়া মাপকাঠি এসেছে দূষণের। সবুজ গাছপালা ভর্তি ময়দানে প্রতি ঘনমিটারে পিএম ২.৫ এর মাত্রা কীভাবে ৩২৪ হল? উত্তর কলকাতা ও উত্তর শহরতলির কার্যত সংযোগস্থল রবীন্দ্রভারতীতে কীভাবে এই মাত্রা ৩৩১ হল? প্রশ্ন তুলেছেন শহরের পরিবেশবিদরা। কিন্তু আগামি দিনে যে দূষণের জালে কলকাতা আরও বিপজ্জনকভাবে ফাঁসছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন স্বয়ং মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পাল্টা তথ্য দিয়ে বলেছেন,দিল্লির মতো তিলোত্তমার পাশে কোনও সমুদ্র নেই যে বাতাসের দূষণ শুষে নেবে। চেন্নাই বা মুম্বইয়ের পাশে আরব সাগর ও ভারত মহাসাগর থাকায় ওই দুই মহানগরের দূষণের হার কলকাতার চেয়ে কম। বস্তুত এই কারণে এক্ষুনি ব্যবস্থা নিতে হবে, ভাবী নাগরিকদের কথা ভেবে দূষণ বন্ধে সবাইকে এগোতেই হবে। এক বছর আগে পরিবেশমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দূষণ রুখতে কলকাতা নিয়ে একটি আধুনিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করান। অনেকগুলি সুপারিশ থাকলেও তার মধ্যে একমাত্র বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে বাতাসে যাতে ধূলিকণা না ছড়ায় সেগুলি কিছুটা কমানো সম্ভব হয়েছে বলে পরিবেশ দপ্তর স্বীকার করেছে। এখন অপেক্ষা ১৫ দিন পরে পুরসভার নিয়োগ করা বিশেষজ্ঞ কমিটি মেয়রকে কী সুপারিশ করে। এবং সেই সুপারিশ কীভাবে রাজ্য সরকার তথা পুরসভা কার্যকর করে তা দেখার জন্য অপেক্ষায় শহরবাসী। এন এইচ, ০৬ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ChZwin
November 06, 2019 at 08:03AM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
মাওবাদী হানায় মৃত তথা নিখোঁজ ৪ জনের পরিবারকে নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
07 Oct 20200টিকলকাতা, ৭ অক্টোবর- কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারের ঘোষণা মতোই ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক সভা থেকে মাও...আরও পড়ুন »
ডেমোক্রেসির বদলে বাংলায় মমতাক্রেসি চলছে
06 Oct 20200টিকলকাতা, ৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মণীশ খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ
06 Oct 20200টিকলকাতা, ০৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি ব...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র বারাকপুর
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপির দাপুটে নেতা মণীশ শুক্লাকে খুনের ঘটনায় সোমবার সকাল থেক...আরও পড়ুন »
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের মণীশ শুক্লা নামে এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে ...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.