ম্যাচের নায়ক হতে পারতেন বার্সেলোনার লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ অথবা রিয়াল মাদ্রিদের গ্যারেথ বেল বা করিম বেনজেমা। কিন্তু দুই দলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতায় উজ্জ্বল হয়ে দেখা দিয়েছে রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স। ঠিক গোললাইন থেকে বল ফিরিয়েছেন বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে ও রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস। সঙ্গে পুরো ম্যাচজুড়েই ছিল ডিফেন্ডারদের দারুণ প্রদর্শনী। যে কারণে গোল পারেনি কোনো দলই। ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় ইস্কোর আলতো পায়ের ছোঁয়ায় বক্সের মধ্যেই বল পেয়েছিলেন করিম বেনজেমা। কিন্তু তার বাঁ পায়ের দ্রুতগতির শট ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগান। ১৭ মিনিটে ডান দিকে দানি কার্ভাহালের ক্রস থেকে বল পেয়ে বক্সের ছয় গজের মধ্যে দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন কাসিমিরো। যেটি গোল হতে পারতো। শেষ মুহূর্তে বার্সার এক ডিফেন্ডার গোললাইনে দাঁড়িয়ে কোনোমতে বলটা বাঁচান। দুই মিনিট পর কাসিমিরোর বক্সের ডান দিক থেকে নেয়া জোড়ালো আরেকটি শট আটকে যায় স্বাগতিকদের রক্ষণে। ২৬ মিনিটে কাসিমিরো বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে আচমকা এক শট নেন। সেটি বাঁদিকে ঝাপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে ফেলেন টার স্টেগান। ৩১ মিনিটে ফিরতি আক্রমণে সুযোগ তৈরি করেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু মেসির বাঁ পায়ের শট বক্সের মাঝামাঝি জায়গায় আটকে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিও কর্তোয়া। ৪১ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন জর্ডি আলবা। মেসির থ্রো বল থেকে গোলরক্ষকের একদম সামনে বল পেয়ে পায়ে লাগালেও সেটি লক্ষ্যমতো দিতে পারেননি স্প্যানিশ লেফটব্যাক। ৪৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে আচমকা জোড়ালো এক শট নেন ভালভার্দে। সেটিও চোখের পলকে ঠেকিয়ে দেন টার স্টেগান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বেশ কয়েকবার রিয়ালের রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করেছেন মেসি। কাজ হয়নি। ৬৮ মিনিটে গ্যারেথ বেলের বা পায়ের শট ওপর দিয়ে না গেলে গোল পেতে পারতো রিয়াল। চার মিনিট পর ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান কর্তোয়া। ৭২তম মিনিটে ঠিকই গোল পেয়েছিল রিয়াল। বল জালে পাঠিয়েছিলেন বেল। ভিএআরের সহায়তায় গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। এর দুই মিনিট পর ডি-বক্সের ভেতর বল পেয়েও ওপর দিয়ে মেরে দেন বার্সা স্ট্রাইকার সুয়ারেস। ৮৩ মিনিটে গ্রিজম্যানকে ওঠিয়ে আনসু ফাতিকে মাঠে নামান বার্সা কোচ। স্পেনের নাগরিকত্ব পাওয়া ১৭ বছর বয়সী গিনি বিসাউয়ের লেফট উইঙ্গার নামার পর মোটামুটি দৌড়ে খেলে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করলেও কাজের কাজ হয়নি বার্সার। শেষপর্যন্ত গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুই দলকে। যার ফলে মৌসুমের প্রথম ও বছরের শেষ এল ক্লাসিকো ম্যাচটির সমাপ্তি ঘটেছে গোলশূন্য ড্রয়ের মধ্য দিয়ে। এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে প্রায় ১৭ বছর পর মিললো গোলশূন্য ড্রয়ের দেখা। ২০০২ সালে ২৩ নভেম্বর বার্সেলোনার মাঠ ন্যু ক্যাম্পেই সবশেষ ০-০ ব্যবধানে ড্র হয়েছিল। এরপর শুধুমাত্র লা লিগাতেই অন্তত ৭টি ম্যাচ ড্র করেছে রিয়াল ও বার্সা। তবে সব ম্যাচেই মিলেছে জালের দেখা। বুধবার রাতে প্রায় ১৭ বছর পর আবারও ম্যাচের ফলাফল এলো গোলশূন্য ড্র। এ ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান অক্ষত রাখল বার্সেলোনা। ১৭ ম্যাচে ১১ জয় ও ৩ ড্রতে তাদের সংগ্রহ ৩৬ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে সমান ৩৬ পয়েন্ট রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদেরও। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় তাদের অবস্থান দ্বিতীয়। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৯ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Ma0nam
December 19, 2019 at 07:22AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top