ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি- র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান যতই এক নম্বর থাকুক না কেন, ইতিহাস পরিষ্কার জানাচ্ছে-দেশে ও বিদেশে সব জায়গায় গত বছর (২০১৯) ৯ টি-টোয়েন্টি খেলে মাত্র একটিতে জিততে পেরেছে দলটি। নিরাপত্তার কারণে সিনিয়র ও প্রতিষ্ঠিত ৫/৬ জন ফ্রন্টলাইন ক্রিকেটার ছাড়া শ্রীলঙ্কার প্রায় এ দলের কাছে গত বছর শেষ দিকে দেশের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে তুলোধুনো হয়েছে পাকিস্তানিরা। সেখানে গত বছর ৭ ম্যাচে বাংলাদেশের ছিল ৪ জয়। যার তিনটি দেশের মাটিতে তিন জাতি আসরে আফগানিস্তান আর জিম্বাবুয়ের সাথে। আর একটি গত নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে। যে দল ভারতের সাজানো গোছানো দলকে ভারতের মাটিতে হারাতে পারে এবং তিন ম্যাচের সিরিজ জেতার জোর সম্ভাবনা জাগাতে পারে, তারা পাকিস্তানের বর্তমান তারুণ্য নির্ভর এবং হারের বৃত্তে আটকে থাকা দলের বিপক্ষে র্যাঙ্কিংয়েই পিছিয়ে আছে শুধু। শক্তি-সামর্থ্যে নয়। আর মাঠের লড়াইয়েও হয়তো পিছিয়ে থাকবে না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তবে বাংলাদেশের ভালো করার পথে একটাই বাধা। দলে এখন যার ব্যাট রীতিমত আস্থার প্রতীক, যিনি মাঠে নামা মানেই ভালো খেলা এবং রান করা, সেই মুশফিকুর রহীমকে ছাড়া খেলতে হবে এ সিরিজ। বলার অপেক্ষা রাখে না, গত ৩ নভেম্বর দিল্লিতে ভারতের বিপক্ষে ৭ উইকেটের ঐতিহাসিক জয়ের রূপকার, নায়ক ও ম্যাচসেরা পারফরমারও ছিলেন এই মুশফিক। তার ৪৩ বলে খেলা ৬০ রানের হার না মানা অনবদ্য ইনিংসের ওপর ভর করেই ভারতীয়দের করা ১৪৮ রান টপকে দারুণ জয় তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। সেই ম্যাচ জেতানো প্রধান ব্যাটসম্যান মুশফিক কিন্তু এবার বিপিএলেও সেরা সময় কাটিয়েছেন। মাত্র ৪ রানের জন্য (মুশফিক ৪৯১ আর রাইলি রুশো ৪৯৫) সর্বোচ্চ স্কোরার হতে না পারলেও ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং করেছিলেন মুশফিকই। সন্দেহাতীতভাবেই দেশি ও বিদেশি পারফরমারদের ভেতরে মুশফিকের ব্যাটে ছিল সবচেয়ে বেশি নির্ভরতা। অবিচল আস্থা, আত্মবিশ্বাস আর স্বচ্ছন্দে খেলে দলকে ফাইনাল পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছেন মুশফিক। এমন ফর্মের চূড়োয় থাকা পারফরমারের জায়গা পূরন সহজ কাজ নয়। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর পাশাপাশি হয়তো মোহাম্মদ মিঠুন আর নাজমুল হোসেন শান্তকে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। মুশফিক যে জায়গায় খেলেন, সেই চার থেকে ছয় নম্বর পর্যন্ত অন্তত একজনকে মুশফিকের মত বড় ইনিংস (অবশ্যই ১৩০+ স্ট্রাইকরেটে অন্তত ৬০+ রানের ইনিংস) খেলতেই হবে। তা না হলে কিন্তু মুশফিকের অভাব থেকেই যাবে। আর এটা নির্জলা সত্য যে, তার জায়গায় কেউ দাঁড়াতে না পারলে পাকিস্তানের সাথে পেরে ওঠা খুব কঠিন হবে। এখন দেখার বিষয়, মিডল অর্ডারে মুশফিকের অভাব পূরণ করেন কে? এমন একজন ইনফর্ম আর ম্যাচ উইনারকে ছাড়া পাকিস্তানের মাটিতে টিম বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত কতটা ভালো খেলতে পারবে, সেটাই আসলে দেখার। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/২৩ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2RiWAdw
January 23, 2020 at 07:06PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন