লন্ডন, ৮ ফেব্রুয়ারি- বিখ্যাত ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আসিয়া ইসলামকে নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। ভারত থেকে আসা আসিয়া গত এক দশক ধরে ব্রিটেনে বসবাস করছেন। একজন সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে তার বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। কিন্তু আসিয়ার নাগরিকত্বের আবেদন বাতিলের বিষয়ে দেশটির যুক্তি হচ্ছে, তিনি নিজের পক্ষে কোনো ব্যতিক্রমী যুক্তি তুলে ধরতে পারেননি। এদিকে তার সমর্থনে সরব ব্রিটেনের অনেক শিক্ষাবিদ। তাদের মতে, তার ক্ষেত্রে যেটা ঘটছে, তা হতাশাজনক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এমনকি ব্রেক্সিটের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে মেধাবীদের আকর্ষণের চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, তার সঙ্গেও এ ঘটনাটি ঠিক মিলছে না। গত নভেম্বরে আসিয়া ইসলাম খবর পান ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার নাগরিকত্বের আবেদন নাকচ করেছে। তিনি বলেন, দেশটিতে একজন অভিবাসী হিসেবে আপনাকে সবসময় প্রান্তিক হয়ে থাকতে হবে। আপনি যদি বৈশ্বিক মেধাবীদের দেশে টানতে চান, তবে তাদের জন্য দেশকে অতিথিপরায়ণ করতে হবে। আমি এখানে গত এক দশক ধরে বসবাস করছি। এখানে আমার কাজ রয়েছে। কিন্তু আমার জীবনও এখানে জড়িয়ে রয়েছে। পিএইচডি গবেষণা শেষ করতে আসিয়া ইসলাম ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে ছিলেন। পরে ব্রিটিশ সফরের আগে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়কে জানান, তিনি স্থায়ীভাবে নাগরিকত্বের আবেদন করতে যাচ্ছেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে। তারা নিশ্চয়তা দেন যে অনুমোদিত ভ্রমণ কখনই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অযোগ্য ঘোষিত হবে না। এদিকে তাকে নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের শিক্ষাবিদরা সরব হয়েছেন। মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী নিখিল গোয়েল বলেন, ব্রিটিশ সরকারের এটিই উত্তরাধিকার যে তারা আসিয়ার মতো গবেষকদের প্রতি অসম্মানজনক, বর্ণবাদী আচরণ করে আসছে। আর/০৮:১৪/০৮ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/31yFtbl
February 08, 2020 at 06:55AM
08 Feb 2020

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top