সিলেট, ০৫ মার্চ - রোববার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১২৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লিটন দাস, জিতেছিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানিয়েছিলেন, ক্রিকেট হচ্ছে মূলত হতাশার খেলা। এর কারণও ব্যাখ্যা করেছিলেন ডানহাতি এ ড্যাশিং ওপেনার। লিটনের মতে, ক্রিকেটে কোনো ব্যাটসম্যান যত রানই করুক না কেন, তার মধ্যে একটা আক্ষেপ থেকেই যায় যে আরও ১০ রান বেশি করা যেত। কেননা ক্রিকেটে ভালোর কোনো শেষ নেই। তার এ কথায় ভার আছে বটে। সত্যিই তো ক্রিকেটে ভালোর কোনো শেষ নেই। সেঞ্চুরির পর ডাবল সেঞ্চুরি, এরপর আবার ট্রিপল সেঞ্চুরিরও আশা করেন কেউ কেউ। সেদিক থেকে চিন্তা করলে ক্রিকেট আসলেই হতাশার খেলা। কিন্তু লিটনের অগ্রজ সতীর্থ তামিম ইকবাল মানতে রাজি নন যে, ক্রিকেট হতাশার খেলা। তাই এ বিষয়ে অনুজ লিটনের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না তামিম। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিমও খেলেছেন তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। সাবলীল ব্যাটিংয়ে রেকর্ডগড়া ১৫৮ রানের ইনিংস খেলে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। সেদিন ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেননি তামিম। তবে কথা বলেছেন (বুধবার)। পড়ন্ত বিকেলে টিম হোটেলের লবিতে দাঁড়িয়ে জানিয়েছেন, তিনি লিটনের ভাবনার সঙ্গে একমত নন। ক্রিকেট হতাশার খেলা মানেন কি না? জিজ্ঞেস করা হলে তামিম উত্তর দেন, না! আমার কাছে মনে হয় যে ক্রিকেটকে হতাশার খেলা বলাটা ঠিক না। এটা আসলে অদ্ভুত সমতার খেলা। একদিন আপনি জিতবেন, খুশি হবেন। আরেকদিন হেরে গিয়ে হতাশ হবেন। মঙ্গলবারের ১৫৮ রানের ইনিংসে তামিম যখন ৮১ থেকে চার মেরে পৌঁছান ৮৫ রানে, তখনই তার পূরণ হয়ে যায় ওয়ানডে ক্রিকেটে সাত হাজার রানের মাইলফলক। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের পক্ষে এ মাইলফলকে তিনিই প্রথম। সাত হাজারের ঘরে পা রেখে তামিম লক্ষ্য হিসেবে কত রানের কথা ভাবছেন? বছরখানেক আগেও এর জবাবে তামিম বলতেন ১০ হাজার রানের কথা। কিন্তু আজ বললেন, রান কত করবো, কখনই এমন লক্ষ্য ঠিক করি না। যে কোনো ক্রিকেটারই বলবে যে দশ হাজার রান করতে চাই। তবে আমি ওভাবে চিন্তা করি না যে, এত রান করতে হবে যে, এত কিছু অর্জন করতে হবে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই লড়তে হয়েছে খারাপ সময়ের সঙ্গে। ধারাবাহিক খেলতে খেলতে হঠাৎ করেই ভালো একটা সময়ের জন্য ঢুকে গেছেন অফফর্মে। যার সবশেষটা বলা চলে, গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে চলতি বছরের পাকিস্তান সফর পর্যন্ত সময়কে। এই খারাপ সময়কে মোকাবেলায় ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিজের মধ্যে কী কী পরিবর্তন এনেছেন তামিম? উত্তরে জানালেন, খারাপ সময়ের কথা বললে, ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত যখন আমি খুব ভালো ফর্মে ছিলাম। তখন আমি অনেককেই বলেছিলাম যে খারাপ সময়টা আবার আসবে। তখন জিজ্ঞেস করা হতো যে ২০১৫ সালের খারাপ সময়টা কীভাবে কাটিয়ে উঠিয়েছি। তখনই বলতাম যে খারাপ সময় আবার আসবে, এখনও বলছি আবার আসবে। ক্রিকেটে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। এটা সবারই কমবেশি যায়। আমি শুধু এটাই চেষ্টা করতে পারি যে, এ সময়টা যত দেরিতে আসে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৫ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2POFwuN
March 05, 2020 at 02:48AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন