মুম্বাই, ১৫ মার্চ - এখনো ছবির নায়ক তিনি। তাকে ঘিরে আবর্তিত হয় বলিউডে প্রেমের গল্পের ছবি। যুবতী সব নায়িকারা স্বপ্ন দেখেন তার বিপরীতে অভিনয় করার। এসব দেখে কে বলবে মিস্টার পারফেকশনিস্টের বয়সটা ৫৬! কিন্তু সত্যিটা হলো তাই। আজ সোমবার, ১৪ মার্চ আমির খানের জন্মদিন। এবারে তিনি পা রাখলেন ৫৬ বছরে। জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ১৩ মার্চ দিন শেষে রাত ১২টার পর থেকেই সিক্ত হচ্ছেন এই তারকা। তাকে ফেসবুক-টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভালোবাসা জানিয়েছেন কোটি কোটি ভক্তরা। এবছর জন্মদিনে লাল সিং চড্ডার শুটিংয়ে ব্যস্ত অভিনেতা। কাজের ফাঁকে ঘুমন্ত আমির খানকে লেন্সবন্দী করলেন কো-স্টার কারিনা কাপুর। বোঝা গেল এই বছর জন্মদিনটা কাজের মধ্যে দিয়েই উদযাপন করছেন বি-টাউনের মিস্টার পারফেকশানিস্ট। ইনস্টাগ্রামে পা রাখার পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বেবো। এদিন চাটার্ড প্লেনে ক্লান্ত বার্থ ডে বয় আমির বালিশ জড়িয়ে ঘুমের দেশে ডুব দিয়েছেন, আর সেই মুহূর্ত মুঠোফোনে লেন্সবন্দী করে করিনা লিখেছেন, আমার প্রিয় সহ অভিনেতা আমির খানে বালিশ! সেই ছবি দুই তারকার ভক্তদেরই মুগ্ধ করেছে। গত তিন দশক ধরে বলিউড মাতিয়ে রাখার কাজটি করে যাচ্ছেন সদর্পে। যে কোনো চরিত্রে মানানসই এই অভিনেতা। তার অভিনয় দক্ষতার জন্য বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট উপাধিটিও অর্জন করে নিয়েছেন। আমিরের জন্মদিন উপলক্ষে বেশকিছু তথ্য দিয়েছেন তার স্ত্রী কিরণ রাও। পরিবারের কাছে একজন কৌতুক অভিনেতা আমির খান। সবসময় পরিবারের মানুষদের সাথে মজা করেই সময় পার করেন। পরিবারের সবাই আমিরের সাথে সময় পার করে বেশ মজা পায় বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে আমিরের বোনও একই তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, আমিরের কোনো এক জন্মদিনে নাকি তার বোনকে পানিতে ফেলে দিয়েছিলেন। এক নজরে আমির খান ১৯৬৫ সালের ১৪ মার্চ মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন আমির খান। তার পুরো নাম মোহাম্মদ আমির হোসাইন খান। তার বাবা জাহির হোসাইন ছিলেন একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও মা জিনাত হোসাইন গৃহিণী। ছোট চাচা নাসির হোসাইনের পরিচালনা ও প্রযোজনায় ১৯৭৩ সালে ইয়াদ ও কি বারাত নামের একটি সংগীত প্রধান চলচ্চিত্রে শিশু শিল্পী হিসেবে তার অভিনয়ের পথচলা শুরু। আর নায়ক হিসেবে আমির খানের আবির্ভাব ঘটে ১৯৮৮ সালে নির্মিত বিখ্যাত চলচ্চিত্র কেয়ামতে থেকে কেয়ামত ছবিতে জুহি চাওলার বিপরীতে। এরপর বাকিটা ইতিহাস। সময়ের পরিক্রমায় আমির নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলিউডে তিন খানের রাজ্যের অন্যতম এক খান হিসেবে। তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। তারমধ্যে মন, গোলাম, রাজা হিন্দুস্থানী, লগন, রঙ দে বাসন্তী, ফানা, থ্রি ইডিয়েটস, গজনি, পিকে, দঙ্গল উল্লেখযোগ্য। আমির খান সফল হয়েছেন জুহি চাওলা, মাধুরী দীক্ষিত, কারিশমা কাপুর, কারিনা কাপুর, রানী মুখার্জি, টাবু, মনীষা কৈরালা, পূজা ভাটের মতো নন্দিত অভিনেত্রীর বিপরীতে কাজ করে। ২০০১ সালে আমির খান ছবির প্রযোজনাতেও নাম লেখান। তার প্রযোজিত প্রথম ছবিটি হচ্ছে লগন। ক্রিকেট ও ইতিহাস ভিত্তিক এই ছবিতে প্রতিবাদী ভুবন চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন তিনি। আমির খান ব্যক্তি জীবনে দুইবার সংসার পেতেছেন। প্রথমবার তিনি রীনা দত্তকে ১৯৮৬ সালে বিয়ে করেন। সেই সংসার ২০০২ সালে ভেঙ্গে যাবার পর ২০০৫ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন কিরন রাওকে। জুনায়েদ খান, ইরা খান ও আজাদ রাও খান নামের তিন সন্তানের জনক তিনি। সেইসঙ্গে বলিউডে নতুন প্রজন্মের সুপারস্টার ইমরান খানের মামা হন আমির। তার উপস্থাপানায় সত্যমে জয়তে অনুষ্ঠানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এন এইচ, ১৫ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Wl1nho
March 15, 2020 at 03:25AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন