ক্রিকেটে খেলোয়াড়রা নিজেকে চির স্মরণীয় করে রাখেন নিজের নৈপুণ্য দিয়ে। ভারতের শচিন টেন্ডুলকার, অস্ট্রেলিয়ার স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, রিকি পন্টিং, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারারা ব্যাটিং কিংবা গ্লেন ম্যাকগ্রাহ, মুত্তিয়া মুরালিধরন, শেন ওয়ার্ন, অনিল কুম্বলেরা বল হাতে করে গেছেন অবিস্মরণীয় সব কীর্তি। যা তাদের বানিয়েছে খেলাটির কিংবদন্তি। এর বাইরেও অনেকে আবার স্মরণীয় হয়ে থাকেন ক্রিকেট মাঠে অদ্ভুত সব ঘটনার কারণে। তেমনই একজন নিউজিল্যান্ডের ডানহাতি পেসার এন্ড্রু এলিস। বোলিং করার সময় তার মাথায় বল লেগে সেটি চলে গিয়েছিল সোজা সীমানার ওপারে। যা ক্রিকেট মাঠে অদ্ভুত ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেই এন্ড্রু এলিস দীর্ঘ ১৮ বছর পেশাদার ক্রিকেট খেলার পর অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন। ২০০২-০৩ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল তার। যার সমাপ্তি এলো ২০১৯-২০ মৌসুমে। কিউইদের জার্সি গায়ে ২০১২-১৩ সালে ১৫ ওয়ানডে ও ৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এলিস। নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে তিন ফরম্যাটেই একশর বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড রয়েছে এলিসের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০৬ ম্যাচ (২৪৯ উইকেট), লিস্ট এ তে ১৩৩ ম্যাচ (১৫৪ উইকেট) ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১২৭ ম্যাচ (১৩১ উইকেট) খেলেছেন তিনি। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম লেখানোর আগে দশ বছর ঘরোয়া সার্কিটে খেলতে হয়ে এলিসকে। এ সময়ের অন্তত পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ ইনজুরির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। ২০১০ সালের এপ্রিলে করা সার্জারির মাধ্যমে পুরোপুরি মুক্তি পান তিনি। যা তাকে লম্বা সময় ধরে খেলার সুযোগ করে দেয়। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের নিউজিল্যান্ড সফরে অভিষেক হয়েছিল এলিসের। তবে ক্যারিয়ারটা লম্বা হয়নি বেশি। ২০১৩ সালের নভেম্বরে শ্রীলঙ্কা সফরে শেষ হয় তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। এর মাঝে ১৫ ওয়ানডেতে ১২ এবং ৫ টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ২ উইকেট নিতে পেরেছিলেন। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যারিয়ার বেশ উজ্জ্বল ছিলো এলিসের। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের দেয়া বর্ষসেরা ঘরোয়া খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন দুইবার। এর মধ্যে ২০১৬-১৭ সালে তার প্রথম বছরের অধিনায়কত্বেই প্লাঙ্কেট শিল্ড ও দ্য ফর্ড ট্রফি জিতেছিল ক্যান্টাবুরি। এরপরের মৌসুমেই এলিসের সঙ্গে ঘটে যায় অদ্ভুত এক ঘটনা। ফর্ড ট্রফি তৃতীয় প্রিলিমিনারি ফাইনাল ম্যাচে অকল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল এলিসের ক্যান্টাবুরি। সে ম্যাচে ১০৭ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছিল অকল্যান্ড। বাঁহাতি ওপেনার জিত রাভাল খেলেছিলেন ১৪৯ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস। প্রায় দুইশ মিনিট ধরে খেলা সেই ইনিংসে ১০টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান রাভাল। যার একটি ছিলো এলিসের বলে, সেটিও বেশ অদ্ভুতভাবে। এলিসের করা মিডল স্টাম্পের ডেলিভারিটিতে সজোরে সোজা হাঁকিয়েছিলেন রাভাল। ফলো থ্রুতে সেটি আটকানোর সময় পাননি এলিস। ফলে আঘাত হানে তার মাথায় এবং রাভালের শটে এতোই জোর ছিলো যে তা সোজা উড়ে চলে যায় বাউন্ডারিতে। এভাবে ছক্কা হজম করার নজির খুব একটা নেই স্বীকৃত ক্রিকেটে। তাই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার খুব একটা বর্ণিল না হলেও, মাথায় বল লেগে ছক্কা খাওয়া বোলার হিসেবে পরিচিতি রয়েছে এলিসের। সেই ঘটনার পর পরবর্তী মৌসুমে মাথায় বিশেষ হেলমেট পরে বোলিং করেছেন এলিস। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১৯ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2vBT326
March 19, 2020 at 09:58AM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
তিন দলের ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ
07 Oct 20200টিঢাকা, ০৭ অক্টোবর- শ্রীলংকা সফর না হওয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দেশের মূল ক্...আরও পড়ুন »
বার্তামেউয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট!
07 Oct 20200টিবার্সেলোনার বোর্ড নির্বাচন আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই সময়ই ঠিক হওয়ার কথা জোসেপ মারিও বার্তা...আরও পড়ুন »
বেতন কাটা নিয়ে বার্সার আলোচনা শুরু
07 Oct 20200টিকরোনার কারণে গত মার্চ থেকে কমাস ফুটবল বন্ধ ছিল। এ সময় বড় ক্লাবসহ বিশ্বের অধিকাংশ ক্লাবই ফুটবলারদের ব...আরও পড়ুন »
অস্ট্রেলিয়া-ভারত গোলাপি বলের টেস্ট চূড়ান্ত
07 Oct 20200টিক্যানবেরা, ০৭ অক্টোবর- এ বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের চার টেস্টের সিরিজ দিবারাত্রির ম্যাচ দিয়...আরও পড়ুন »
নারীর প্রতি মনোভাব বদলের ডাক মাশরাফীর
07 Oct 20200টিঢাকা, ৭ অক্টোবর- উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতার হার। সিলেটে এমসি কলেজসহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.