ওয়েলিংটন, ০১ মে - মাঠভর্তি দর্শক থাকবে, তারা চিৎকার চেঁচামেচি করবেন, এই না হলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ! দর্শক ছাড়া ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারটিকে খুব অদ্ভুত মনে হয় নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান রস টেলরের। করোনার প্রভাবে এখন সব খেলাধুলা বন্ধ। লকডাউনের আগে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছিল সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। অস্ট্রিলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ওয়ানডে ম্যাচটিতে দর্শক প্রবেশের অনুমতি ছিল না। সে ম্যাচে অদ্ভুত কিছু ঘটনার সাক্ষী হয় ক্রিকেট। ব্যাটসম্যানরা যতবার ছক্কা হাঁকিয়েছেন, গ্যালারির এত এত চেয়ারের মাঝে বল খুঁজতে খুঁজতে হয়রান ফিল্ডাররা। দর্শক মাঠে থাকলে তো তারাই বল ফেরত পাঠান। এছাড়া ওই ম্যাচে স্পাইডারক্যামের মাধ্যমে টস থেকে কথা বলার আনুষ্ঠানিকতা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ সম্পাদন হয়েছিল। দুই অধিনায়কসহ খেলোয়াড়রা কেউ করমর্দন করেননি। এত প্রতিবন্ধকতার মধ্যে খেলার কি আর মজা থাকে? রস টেলর ওই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন। তিনি সে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, ওই ম্যাচটি খেলতে বেশ অদ্ভুত লাগছিল। ম্যাচটি বাতিলের গুঞ্জন ছিল এবং সব কিছু খুব দ্রুতই হয়ে যায়। টেলর যোগ করেন, ওই ম্যাচের কথা বললে, প্রস্তুতিটা খুব অদ্ভুত ছিল। আমার কাছে মনে হচ্ছিল, এটা যেন গা গরমের ম্যাচ। সত্যিকারের আন্তর্জাতিক ম্যাচের মত লাগেনি। তবে আমার মনে হয় যখন আপনি খেলতে নেমে যাবেন, তখন আলাদা ভাবনার সুযোগ নেই। বাড়ির উঠোনে খেলেন কিংবা ক্লাব ম্যাচ, সেরাটাই দিতে হবে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে করোনার প্রভাব কমেছে। তাই আবারও খেলা চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে যতদিন করোনা থাকবে, সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে দর্শকবিহীন মাঠেই খেলা আয়োজন হবে। টেলরের সেদিনের অভিজ্ঞতা অদ্ভুত হলেও পেশাদার ক্রিকেটাররা এই পরিবেশের সঙ্গে আস্তে আস্তে মানিয়ে নিতে পারবে বলেই মনে করেন এই ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন, যদি মিথ্যা না বলি, আমার সত্যিই অনেক অদ্ভুত লেগেছিল। তবে এটাও ঠিক, আরও কিছু ম্যাচ এভাবে হতে পারে। খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের মানিয়ে নিতেই হবে এবং আমি নিশ্চিত সেটা আমরা পারব। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০১ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2z390PW
May 01, 2020 at 06:39AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top