ঢাকা, ১৪ জুন - বছর খানেক আগে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিলো একটি ছবি। যেখানে একজন যুবকের সঙ্গে দেখা যায় নুসরাত ফারিয়াকে। গুঞ্জন ছড়িয়েছিল এই যুবকটিকে গোপনে বিয়ে করেছেন ঢালিউডের আলোচিত এই নায়িকা। অবশেষে সব গুঞ্জনের অবসান ঘটালেন তিনি নিজেই। সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন ছবিতে থাকা যুবককে বিয়ে করতে চলেছেন তিনি। তার বরের নাম রনি রিয়াদ রশিদ। দুজনে সাত বছর ধরেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন। এরই মধ্যে প্রেমিক রনির সঙ্গে আংটি বদল করেছেন তিনি।নুসরাত ফারিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাগদানের খবরটি জানিয়েছেন। তিনি হবু বরের সঙ্গে তোলা আংটিসহ হাতের ছবিও ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। এবার জানালেন তাদের প্রেমে পড়ার কাহিনী। ফারিয়া বরের পরিচয় দিয়ে বলেন, রনি আর্মি পরিবারের সন্তান। আমিও। তার বাবা সাবেক সেনাপ্রধান বীরপ্রতীক এম হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালে রনির সঙ্গে আমার যখন পরিচয় হয়, তখন তিনি একটি মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছিলেন। এখন একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াতে সরকারি চাকরি করছেন। এছাড়া পারিবারিক ব্যবসা আছে। ফারিয়া তাদের প্রেমের গল্পে বললেন, পরিচয়ের এক, দুই মাস পর উনিই প্রথম আমাকে বন্ধু হওয়ার প্রস্তাব দেন। তখন আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হতে থাকে। দুজনে তখন নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়েও ব্যস্ত ছিলাম। তবে তিনি আমার বিষয়ে খুব সচেতন ছিলেন গোড়া থেকেই। এমনও হয়েছে তিনি কোনো মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছেন, আমি ফোন দিয়েছি, তিনি তা রিসিভ করতেন। উল্টোদিকে আমি সেটা করতে পারিনি। তার সঙ্গে যখন আমার পরিচয় তখন আমি উপস্থাপনা করি। আমার নায়িকা হয়ে ওঠার পেছনে তার অনেক ভূমিকা ও অনুপ্রেরণা আছে। হয়তো তার কারণেই আমি নায়িকা হতে পেরেছি। সবসময় ইতিবাচক কথা বলে আমাকে সহযোগিতা করতেন এসব বিষয়ে। যখন জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হলাম, খুব ভয়ে ছিলাম। অনেকেই অনেক কথা বলেন। তিনি শুধু বলেছেন, অন্যের কথা শোনার দরকার নাই। নিজের কথাটা শোনা জরুরি। এভাবেই তার প্রতি আমার ভালোলাগা বাড়তে থাকে। তবে পরিচয়ের এক বছর পর ভালোবাসার প্রস্তাবটা তার পক্ষ থেকেই আসে। কথা বলার সুবাদে আমরা ভালো বন্ধু বনে যাই, এরপর ভালোবাসা। আমার হাতে একটা ডায়মন্ডের আংটি আছে, যা আমি অনেক আগে থেকেই পরি। উনি ডায়মন্ডের আংটি দিয়ে আমাকে প্রপোজ করেন। উনার প্রপোজের ভাষাগুলো আমার মনে ধরেছিল। সেটা আজ আর না বলি। আমার প্রতি তার ভালো লাগাটা অনেক বেশি। সে আমাকে অনেক বোঝে। শত ব্যস্ততার মাঝেও উনি আমাকে সময় দেন। আমার যে কোনও সমস্যা বা পরামর্শে, সবার আগে আমি উনার সাপোর্ট পাই। বাবা-মা তো আছেই, পাশাপাশি উনিও অভিভাবক হিসেবে পাশে থেকেছেন। এন এইচ, ১৪ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2zvqF3v
June 14, 2020 at 04:53AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top