কলকাতা, ২৬ জুন - রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে দুর্নীতি করছে বলে অভিযোগ। ত্রাণ বন্টনেও দলবাজি করছে তৃণমূল, অভিযোগ বিজেপির। প্রতিবাদ করলে বিজেপির ওপর হামলা করছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আর এই সমস্ত বিষয়ের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর। আর সেখানে যাওয়ার পথে রাস্তায় বিশাল পুলিশবাহিনী আটকে দিল সায়ন্তন বসুকে। ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা। বেশ কিছুক্ষণ পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বদের বাদানুবাদের পর অবশেষে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকেই মূলত রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান বলা চলে। আর এই জেলাই রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর গড় হিসেবে পরিচত। সেখানেই এবার ঢুকতে বাধা দেওয়া হল বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে। প্রসঙ্গত, গত প্রায় এক মাস আগে আমফান বিধ্বস্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিদর্শন করতে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেও বিশাল পুলিশবাহিনী নন্দকুমারের কাছে আটকে দেয় তাকে। বেশ কিছুক্ষণ বিজেপি নেতৃত্বরা বিক্ষোভ দেখানোর পর অবশেষে ফিরে যান রাজ্য সভাপতি। আর সেই ঘটনারই একপ্রকার পুনরাবৃত্তি বলা চলে শুক্রবার। গত বুধবার ডেপুটেশন দিতে যাওয়ার পথে ভগবানপুর আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। যদিও এ বিষয়েও নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার দুপুরবেলায় বিজেপির দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কাঁথিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করার কথা ছিল সায়ন্তনবাবুর। আর সেই সূচি অনুযায়ী জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের দিকে আসছিলেন সায়ন্তন বসু। কোলাঘাটে ঢোকার মুখে তমলুক মহকুমা পুলিশ সুপার অতিশ বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী সায়ন্তনবাবুর গাড়ি আটকে দেন। সায়ন্তনবাবুর গাড়ি আটকে দেওয়ার ফলে ব্যাপক ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির নেতা কর্মীরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি নবারুণ নায়েক পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এভাবে বেশ কিছুক্ষন চলার পর অবশেষে কলকাতার উদ্দেশ্যে ফিরে যান সায়ন্তনবাবু। এদিন পুলিশের আটকানো প্রসঙ্গে সায়ন্তন বসু সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব মেদিনীপুরে যেতে গেলে ভিসা লাগবে নাকি পাসপোর্ট লাগবে? পুলিশ বলতে পারে আমি র্যালি করতে পারবো না। কিন্তু আমি যেতে পারবোনা এটা কি মানে দাঁড়ায়? পশ্চিমবঙ্গের কোন গণতন্ত্র নেই। চূড়ান্ত দুরবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছে। পুলিশ চাইলে বলতে পারে আমাদের র্যালি করতে দেবেনা। কিন্তু পুলিশ এভাবে আটকাতে পারেনা। সবমিলিয়ে দিলীপ ঘোষের পর সায়ন্তন বসুকে আটকানো নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বিজেপি মহলে। সুত্র : কলকাতা ২৪x৭ এন এ/ ২৬ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3i70fX9
June 26, 2020 at 04:21PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন