কলকাতা, ০১ অগাস্ট - বুধবার গভীর রাতে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। ২০২১-এর রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে পরবর্তী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বেছে নেওয়ার কাজ শুরু করে দিল এআইসিসি৷ সোমেন মিত্রের উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার জন্য আপাতত তিনটি নাম ভেসে উঠল৷ এআইসিসি-র পর্যবেক্ষকের কাছে যে তিন জনের নাম সুপারিশ করা হয়েছে তাঁদের কেউই নতুন মুখ নন৷ তিন জনেই দলের বর্ষীয়ান নেতা। তিন জনেই অতীতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ সামলেছেন৷ কংগ্রেস সূত্রের খবর, এঁরা হলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নান ও অধীর চৌধুরী৷ তবে এই তিন বর্ষীয়ান নেতার মধ্যে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য৷ অতীতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবেই সবাইকে নিয়ে চলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তবে কংগ্রেস কর্মীদের কাছে জনপ্রিয়তার নিরিখে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু তিনি এই মহূর্তে লোকসভায় দলের নেতা এবং পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান। ফলে তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ এছাড়া অতীতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপিত হিসেব সবাইকে নিয়ে চলতে না-পারায় দলের অন্দরেই ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। আর দলের একনিষ্ট কর্মী আব্দুল মান্নানকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও সংশয় রয়েছে৷ [আরও পড়ুন : এক বছরেই মোহভঙ্গ, বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে দিদির কাছেই ফিরলেন বিপ্লব ] প্রয়াত সভাপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ৭ দিনের জন্য সব রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। এই সময়ে এআইসিসি-র নেতারা প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে ভবিষ্যতের সাংগঠনিক দায়িত্ব ঠিক করার ব্যাপারে কথা বলবেন। তবে কাউকে ভারপ্রাপ্ত বা অন্তর্বর্তী সভাপতি না-করে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেওয়ার আর্জি জানিয়ে রেখেছেন রাজ্য নেতৃত্ব। বাংলার ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা গৌরব গগৈ বৃহস্পতিবার রাতে শহরে পৌঁছে প্রয়াত নেতার বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রী শিখা মিত্র ও পুত্র রোহনের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এআইসিসি-র সহকারী পর্যবেক্ষক বিপি সিং। শুক্রবার কথা বলেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন গৌরব৷ তবে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে আরও কিছু আলোচনা করতে চান তিনি৷ তারপর তিনি রিপোর্ট দেবেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপালকে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সিলমোহর দেবেন রাহুল গাঁধী৷ গৌরব গগৈ সোমেন মিত্রের অবদান সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানানষ সোমেনবাবু যে উচ্চতায় পৌঁছেছিলেন, রাতারাতি সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। দলের প্রতি তাঁর অবদান কোনও দিন ভোলার নয়৷ তিন ছিলেন কংগ্রেসের একনিষ্ট কর্মী৷ তাঁর নেতৃত্বে রাজ্যের কংগ্রেস এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে ছিল৷ সবাই নিয়ে কাজ করার অসাধারণ দক্ষতা ছিল৷ সাধারণ মানুষের নানা দাবি-প্রতিবাদ নিয়ে তাঁর নেতৃত্বে যেভাবে আন্দোলন চলছিল, তা চলতে থাকবে। তবে আপাতত আমরা সব কর্মসূচি স্থগিত রাখছি। সুত্র : কলকাতা ২৪x৭ এন এ/ ০১ অগাস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2PeuYoa
August 01, 2020 at 08:37AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন