আগরতলা, ২৩ সেপ্টেম্বর - বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা করার দাবি নিয়ে শিক্ষকদের মহাকরণ অভিযানে পুলিশের লাঠি চালনা ঘিরে আবারও উত্তপ্ত ত্রিপুরা। বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকারের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি ভুয়ো বলেই চিহ্নিত করছেন রাজ্যের ১০৩২৩ সংগঠনের সদস্যরা। বুধবার পূর্ব ঘোষণা অনুসারে আগরতলায় চাকরিচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকারা মহাকরণ অভিযান করেন। তবে নিরাপত্তা বলয়ের নির্দিষ্ট সীমা পেরনোর আগেই সেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ লাঠি চার্জ করেছে বলে অভিযোগ। কয়েকজন শিক্ষিকা লাঠির আঘাতে রাস্তার উপরেই ছিটকে পড়েন। তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই ছবি সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। তাঁরা নির্বিচারে লাঠি চালানোর অভিযোগ করেছেন। এই সংগঠনের সদস্যরা জানান, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের ১০,৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি স্থায়িত্ব নিয়ে বাম আমলের শেষের দিকে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। বিজেপি নেতারা আশ্বাস দিয়েছিলেন, তাদের সরকার তৈরি হলে সমস্যা সমাধান হবে। সরকার আসার পর আড়াই বছর কেটেছে, কিছুই হয়নি। বিকল্প রোজগারের দাবিতে আন্দোলনে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে। গত ৩১ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ত্রিপুরার ১০,৩২৩ জন শিক্ষককে তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। বহিষ্কৃত শিক্ষকরা সরকারের কাছে বিকল্প আয়ের ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছেন। বিরোধী দল সিপিআইএম ও কংগ্রেস বারবার অভিযোগ তুলছে রাজ্যেে কর্মসংস্থান সূচক নিম্নমুখী। পাশাপাশি, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রবল সরব বিরোধী নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তাঁর অভিযোগ, ত্রিপুরাবাসীকে গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই সন্ত্রাসের ভয় দেখিয়েছে বিজেপি। নিকম্মার সরকার বলেও বর্তমান শাসকদের কটাক্ষ করেছেন মানিকবাবু। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় কর্মসংস্থানের গতি বেড়েছে। স্বনিযুক্তি প্রকল্প, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পরিমাণ উর্ধমুখী। বিরোধীদের আন্দোলন নিছকই বিরোধিতার জন্য বলেই তাঁর দাবি। তবে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা, কর্মসংস্থানের দাবিতে একদিন আগেই কংগ্রেসের ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধ ঘিরে আগরতলা ও বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়। বনধে মিশ্র সাড়া পড়ে। কংগ্রেসের বনধের পরেই ছিল ১০,৩২৩ সংগঠনের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাজের দাবিতে বুধবারের মহাকরণ অভিযান। অভিযোগ, পুলিশ নির্মমভাবে লাঠি চালিয়ে মিছিল ভেঙে দেয়। আক্রান্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ ও সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। সুত্র : কলকাতা ২৪x৭ এন এ/ ২৩ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3iVx3SZ
September 23, 2020 at 09:35AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন