ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নগর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে প্রায় ৩০ হাজার বেওয়ারিশ কুকুর। জনগণের চলাচল বিঘ্নিত হওয়াসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে কুকুরগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এদিকে পশুপ্রেমীরা এমন সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের দাবি, কুকুর মানুষের অনেক উপকার করে। কুকুর অন্যত্র সরিয়ে না নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই। এর মধ্যে চিত্রনায়িকা তমা মির্জা অন্যতম। তমা মির্জা বলেন, কুকুর নিধন করা একদমই অমানবিক। আমি ঢাকার গুলশান, বনানী, মগবাজার, এফডিসিতে কুকুরদের খাইয়েছি। আমি কখনো চাইনি এগুলো মানুষ জানুক। গুলশান-বনানীতে গিয়ে আমি ডাক দিলেই অনেক কুকুর চলে আসে। এই কুকুরদেরও ওরা ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এদেরকে আমি পাচ্ছি না। এরা তো আমার পালিত কুকুর। এরকম হাজার হাজার কুকুর আছে। কেউ হয়তো ক্যান্টিনের সামনে পালে, কেউ ক্যাম্পাসে বা মহল্লার রাস্তায় পালে। আমার বাসার নিচে কুকুর যখন গভীর রাতে ডাকে তখন বুঝতে পারি অপরিচিত কেউ এসেছে। আমার বাসায় কুকুর আছে, এজন্য কখনো চুরি হয়নি। অনেকে অযথাই কুকুর ভয় পায়, কুকুরকে টর্চার করে; গরম চা ছুড়ে মারে, ঢিল মারে। এরপরই কুকুর নিজেকে প্রটেক্ট করে। যে কোনো প্রাণীর সঙ্গে এরকম করলে হামলা করবেই। বলেন, তমা মির্জা। এই অভিনেত্রীর কুকুরপ্রেমী হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। বিভিন্ন সময় তাকে পথের কুকরদের সেবা করতে দেখা গিয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে তমা বলেন, দুই বছর আগে একটি কুকুর ছাদ থেকে পড়ে যায়। এরিক নামে বিদেশি একজন পশুচিকিৎসক দিয়ে দুবার অপারেশন করিয়ে কুকুরটিকে সুস্থ করেছি। আমার বাসায় দুটি কুকুর আছে। এর মধ্যে একটি কুকুর রাস্তা থেকে নিয়ে এসেছি। এটি অনেক বয়স্ক, একটি চোখ নেই। ডাক্তার দেখিয়ে সুস্থ করে এখন বাসায় পুষি। আমার স্বামীও কুকুর পুষতে পছন্দ করেন। তারও একটি কুকুর আছে। আরও পড়ুন-সিনেমা হল খোলার সিদ্ধান্ত আসছে পরামর্শ দিয়ে তমা মির্জা বলেন, কুকুরের সংখ্যা যদি বেড়ে যায়, এক্ষেত্রে আমাদের আইন আছে। কিন্তু সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেই। আইন অনুযায়ী বিনা কারণে কোনো প্রাণী হত্যা করা যাবে না। বেড়ে গেলে এদের ভ্যাক্সিন দেওয়া যেতে পারে। তাহলে কামড়ালে অন্য কোনো রোগ হবে না। কুকুর নিধন খুবই প্যাথেটিক। যারা বোদ্ধা আছেন, দেশ পরিচালনা করেন তাদের কাছ থেকে এরকম অমানবিকতা আশা করা যায় না। আশা করছি, তারা তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন। বলো না তুমি আমার সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তমা মির্জার। ২০১৫ সালে শাহনেওয়াজ কাকলি পরিচালিত নদীজন সিনেমায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। সূত্র: রাইজিংবিডি এমএ/ ২২ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/35ZiSJk
September 22, 2020 at 01:47PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন