মুম্বাই, ০৭ জানুয়ারি- বলিউডের চলচ্চিত্র পরিচালক-প্রযোজক মহেশ ভট্টের নির্মিত ছবি বিভিন্ন সময়ে নানা কারণে বিতর্কের ঝ়ড় তুলেছে। কিন্তু শুধু ছবি নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি ব্যতিক্রমী। তাঁর নিজস্ব জীবনচর্যাও বিভিন্ন সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে। অনেকেই জানেন না যে, মহেশ ভট্টের পিতা-মাতা কোনও দিন বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হননি। তাঁর বাবা ছিলেন হিন্দু, আর মা মুসলমান। পরবর্তী কালে বাবার সঙ্গে মহেশের মানসিক দূরত্বও তৈরি হয়। জীবনে বহু মহিলার সঙ্গে প্রেম-সম্পর্কে জড়িয়েছেন মহেশ। শোনা যায়, কলেজ-জীবনে লোরিয়েন ব্রাইট নামের এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে মহেশের। পরবর্তী কালে ওই মহিলার নাম পরিবর্তন করে মহেশ নাম রাখেন কিরণ। এই কিরণই মহেশের সন্তান পূজা ভট্ট এবং রাহুল ভট্টের মা। কিরণের সঙ্গে মহেশ কিরণের সঙ্গে বিবাহিত জীবনযাপনের সময়েই অভিনেত্রী পরভিন বাবির সঙ্গে প্রেমসম্পর্ক শুরু হয় মহেশের। ব্যাপারটা এত দূর গড়ায় যে, পরবিনের আকর্ষণেই কিরণের কাছ থেকে দূরে সরে আসেন মহেশ। কিন্তু পরভিনের সঙ্গে মহেশের সম্পর্কও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। পরভিন আর মহেশের মধ্যেও কালক্রমে তৈরি হয় দূরত্ব। এর পর সোনি রাজদানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়়েন মহেশ। জন্মগত ভাবে হিন্দু হলেও সোনিকে বিয়ে করবেন বলে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন তিনি। আলিয়া ভট্ট এবং শাহিন ভট্ট সোনি রাজদানেরই কন্যা। সোনি ও শাহিনের সঙ্গে তবে মহেশকে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে যখন একটি নামজাদা ম্যাগাজিনের কভার শ্যুটের জন্য মেয়ে পূজা ভট্টের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু খান তিনি। নিবিড় ভাবে চুম্বনরত পিতা-কন্যার এই ছবি পত্রিকার প্রচ্ছদে প্রকাশিত হতেই দেশজুড়ে আলোড়ন শুরু হয়। বহু গণসংগঠন পিতা-কন্যার এ হেন আচরণকে অশ্লীলতা বলে দাবি করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পূজা-মহেশ বিতর্ক এখানেই থামেনি। এই ছবি প্রকাশ হওয়ার কিছু কাল পরে একটি নামী পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মহেশ বলে বসেন, আমি পূজাকে বিয়ে করতে চাই। ও যদি আমার মেয়ে না হতো, তা হলে আমি সত্যিই ওকে বিয়ে করতাম। এই মন্তব্যে বিতর্কের যজ্ঞে যেন ঘৃতাহূতি পড়ে। সেই বিতর্কিত ছবি বলিউডের অন্দরমহলে কান পাতলে আজও গুঞ্জন শোনা যায় যে, মহেশ ভট্টের জীবনের এমন অনেক অধ্যায় রয়েছে যেগুলির কথা এখনও কেউ জানে না।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2iTgN9C
January 08, 2017 at 02:14AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top