অন্টারিও, ০২ মার্চ- কানাডার অন্টারিও প্রদেশের একটি শহর লন্ডন। বাঙালি কমিউনিটির পরিধি এখনো যথেষ্ট ছোট। সেই ছোট্ট কমিউনিটিও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ও বাঙালি চেতনার ডাকে। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই শহরে বসবাসরত বাংলা অন্তপ্রাণ বাঙালিরা এবার পালন করেছেন অমর একুশেবাঙালির ভাষাশহীদ দিবস। দিনটি এখানে কর্মদিবস হওয়ায় শহরের কর্মব্যস্ত বাঙালিরা দিবসটি পালনের জন্য ২৫ তারিখটি বেছে নেন। শহরের ১৮৪৫ বেলিমোট অ্যাভিনিউয়ে বাংলা অন্তপ্রাণ বাঙালিরা ভোরবেলায় জড়ো হয়ে প্রভাতফেরির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানের সুরে সুরে তারা নিজেদের হাতে বানানো পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নিজেদের তৈরি শহীদ মিনারের পাদদেশে। সুদূর প্রবাসে মাতৃভূমির একটুকরো অংশে তারা যেন ঢেলে দেন নিজেদের মন-প্রাণ। তানিয়া রুবাইয়াতের পরিচালনায় বাংলা গান, কবিতা, নাচ আর যন্ত্র সংগীত বাজিয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম অংশ প্রাণবন্ত করে রাখে শিশু-কিশোরেরা। ছোট্ট রোদেলা একুশের ইতিহাস উপস্থাপনা করে সবার জন্য। অরিত্র, নাভিদ, তাহসান আর সারিন কবিতা পড়েছে; গান গেয়েছে সাবিন, আতিক ও আহসান। ফারহান পিয়ানোতে বাংলা গান বাজিয়েছে। ছোটদের অংশের শেষে ছিল আবার রোদেলার নাচ। আমি বাংলায় গান গাই গানের সুরে রোদেলার নাচের সঙ্গে অংশ নিতে হয়েছে তার মা-বাবা মাহমুদা আর রিপনকে। বড়দের অংশে গান গেয়েছেন জহির ইসলাম ও বানু আক্তার, শফিউর রহমান, মাহমুদা সুলতানা ও কাজী আফজাল আহমেদ। কবিতা পাঠ করেছেন ইশরাত লতা, পারভিন আক্তার, তানিয়া রুবাইয়াত ও মিল্টন। অপেক্ষাকৃত ছোট শহরের ছোট বাঙালি কমিউনিটির একুশেকে ঘিরে এই আয়োজন সবাইকে আবেগ আপ্লুত করে তুলে। সেই আবেগ যেন ছুঁয়ে দেয় নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদেরও। বাবা-মাকে অনুকরণ করে তারাও যেন বাঙালির আবহমান সংস্কৃতি আর একুশের চেতনায় ঋদ্ধ হয়ে একাত্ম হয়ে পড়ে পুরো আয়োজনের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, গত ১৬ ডিসেম্বর অন্টারিওর লন্ডনে প্রথমবারের মতো উদ্যাপিত হয়েছিল বিজয় দিবস। তারই ধারাবাহিকতায় একুশে পালন। এই শহরে বাঙালির একুশ পালন এই প্রথম। আর/১০:১৪/০২ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2medmvk
March 03, 2017 at 04:42AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top