কলকাতা, ০২ জুলাই- হৃদয় জুড়ের সেটএ প্রেম এবং বিয়ের প্রস্তাব দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রিয়ঙ্কা সরকার এবং বাংলাদেশের পরিচালক রফিক সিকদারের মধ্যে তরজা চরমে উঠেছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যে প্রজেক্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নায়িকা। যদিও এই মুহূর্তে পরিচালক চাইছেন, যে কোনওভাবে প্রিয়ঙ্কাকে রাজি করিয়ে ছবির বাকি অংশের শ্যুটিং শেষ করতে। সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল, প্রিয়ঙ্কা নাকি রফিকের সঙ্গে কাজ শেষ করতে রাজি হয়েছেন। এবং খুব তাড়াতাড়িই নাকি শ্যুটিং শেষ করতে বাংলাদেশ যাচ্ছেন নায়িকা। তবে এই পুরো বিষয়টাই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন নায়িকা। প্রিয়ঙ্কার কথায়, ওঁর ছবিতে আমার কাজ করার প্রশ্নই ওঠে না। রফিক যে আমার সঙ্গে আর কাজ করতে চান না, সে কথা উনি তো ফেসবুকে পোস্টও করেছেন। হৃদয় জুড়ে ছবিতে আমাকে রিপ্লেস করার জন্য অন্য নায়িকার সন্ধান করছেন, সেই কথাও আমার কানে এসেছে। প্রসঙ্গত, হৃদয় জুড়ের কাজ ছেড়ে প্রিয়ঙ্কা বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় ফিরে আসার পর শোনা গিয়েছিল, পরিচালক প্রিয়ঙ্কার পরিবর্তে অন্য কোনও নায়িকাকে নিয়ে ছবির কাজ শেষ করতে চাইছেন। জানা গিয়েছিল, ঐন্দ্রিলা সেনকে নায়িকা করতে চান রফিক। হৃদয় জুড়ের ছবির প্রস্তাব ঐন্দ্রিলার কাছেও পৌঁছেছিল। যদিও পরিচালকের প্রস্তাবে রাজি হননি নায়িকা। ঐন্দ্রিলার কথায়, কলকাতারই একজন ফোন করে আমাকে রফিক সিকদারের সঙ্গে কাজের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমাকে বলা হয়েছিল, প্রিয়ঙ্কাকে বাদ দিয়ে আমাকে নায়িকা করে ছবির শ্যুটিং শুরু হবে। প্রিয়ঙ্কাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। ও কেমন মানুষ সেটাও জানি! ও যে পরিস্থিতির শিকার হয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে পড়তে চাইনি। তাই প্রজেক্টটায় আগ্রহও দেখাইনি। প্রিয়ঙ্কা নারাজ হলেও আপাতত তাঁকে নিয়েই ছবির কাজ শেষ করতে বদ্ধপরিকর রফিক। তাঁর কথায়, প্রযোজক ইতিমধ্যেই অনেক অর্থ বিনিয়োগ করে ফেলেছেন। প্রিয়ঙ্কাকে বাদ দিতে গেলে প্রচুর ক্ষতি হবে। তাই, ওঁর সঙ্গেই বাকি ছবিটা শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিচালকের দাবি, প্রিয়ঙ্কাকে প্রেম এবং বিয়ের প্রস্তাব দেওয়াকে কেন্দ্র করে জটিলতা তৈরি হওয়ার পর থেকে নায়িকার সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ রাখেননি তিনি। রফিকের কথায়, আবেগের বশেই আমি পুরো বিষয়টা করেছিলাম। সেখান থেকে সরে এসেছি। প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি না। তবে ছবিটা শেষ করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। ছবির পরবর্তী শিডিউলের কবে হবে, সেই বিষয়ে ছবির প্রযোজক এবং বিএফডিএএর (বাংলাদেশ ফিল্ম ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন) কর্তারা প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে কথা বলে দেখবেন। তবে পরিচালকের ইচ্ছে পূরণ হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2sv506V
July 02, 2017 at 10:31PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন