কলকাতা, ০৫ অক্টোবর- দাড়িভিট প্রসঙ্গ কার্যত এড়িয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিজেপি, আরএসএসকে দুষে জানিয়ে দিলেন আইন আইনের পথে চলবে৷ তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যেই স্পষ্ট, বিষয়টিকে নিয়ে চর্চা চাইছেন না শাসক শিবির৷ দাড়িভিটকে কেন্দ্র করে লোকসভার আগে তৃণমূল বিরোধী আন্দোলনের পারদ চড়াতে মরিয়া গেরুয়া শিবির৷ গুলিতে ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে বনধ পালন করে বিজেপি৷ ইসলামপুরের মাটি কামড়ে পরে রয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ৷ গিয়েছেন মুকুল রায়ের মত নেতারাও৷ ফলে বলাই যায় মুরলীধর সেন লেনের পাখির চোখ দাড়িভিট৷ রাজ্য সরকার বিরোধী প্রচারকে রাজধানীর মাটিতে পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নেয় দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা৷ মৃত দুই ছাত্রের পরিবারের লোকেরদের অভিযোগ জানাতে নিয়ে যাওয়া হয় মানবাধিকার কমিশন ও রাষ্ট্রপতির কাছে৷ সিআইডিকে সরিয়ে দাবি জানানো হয় সিবিআই তদন্তের৷ আইনী পথেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে মৃত্যুর তদন্তের আর্জি জানানো হয়৷ রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল বিরোধী প্রচারে এখন বিজেপির হাতিয়ার দাড়িভিট৷ আইনী গেরোয় বিদ্ধ তদন্ত৷ যদিও শাসক শিবির কিছু বলললেই তা চর্চায় আসবে৷ বলার সুযোগ পাবে বিরোধীরা৷ ফলে নতুন করে মুখ না খুলে বিষয়টিকে লঘু করতে উদ্যোগী তৃণমূল৷ সেই কারণে কৌশলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাড়িভিট প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা৷ ২০শে সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন৷ আন্দোলন ঘিরে পড়ুয়া পুলিশ বচসা৷ তার মধ্যে পড়ুয়াদের আন্দোলন লক্ষ্য করে চলে গুলি৷ নিহত হন রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মন৷ উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি৷ বিরোধীদের দাবি ছিল পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে ওই দুই ছাত্রের৷ সুদূর ইউরোপ থেকে বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন পুলিশ গুলি চালায়নি৷ মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দায়ী করেন বিজেপি ও আরএসএসকে৷ বাংলায় অশান্তি পাকাতেই তাদের এই চত্রান্ত বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঘটনার পরই দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ে অশান্তির জন্য শিক্ষামন্ত্রী দায়ী করেন ডিআইকে৷ সাসপেন্ডও করা হয় তাকে৷ তবে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য দায়ি করা হয় বিজেপি ও আরএসএসকে৷ কেন তাদের বিরিুদ্ধে অভিযোগের তির৷ অভিযোগের পিছনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে কী প্রমাণ রয়েছে? মন্তব্যের ২৪ ঘন্টার মধ্যে পার্থবাবুর কাছে জানতে চায় আরএসএস৷ সদুত্তোর না মেলায় শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে তারা৷ শিক্ষা দফতরে নোটিশ পাঠায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদও৷ পদ্ম শিবির আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়ে ইসলামপুরকাণ্ডের রেশ ধরে রাখতে তৎপর৷ সুকৌশলে প্রসঙ্গ এড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সব মিলিয়ে রাজ্য রাজনীতির জটীল আবর্তে ছাত্র মৃত্যু, দাড়িভিট৷ তথ্যসূত্র: কলকাতা২৪৭ একে/০৯:০০/০৫ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2C0e4V5
October 06, 2018 at 03:02AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন