কলকাতা, ০৭ নভেম্বর- কালীপুজোর মণ্ডপে অগ্নিকাণ্ড ঠেকাতে পুলিশের তরফে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হয়েছে। বলা হয়েছে, মণ্ডপে মজুত রাখতে হবে বালি ও অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্র। কিন্তু সল্টলেকের ছবিটা বলছে, পুজো উদ্যোক্তাদের একাংশ কার্যত কিছুই করেননি। উদ্যোক্তাদের একাংশের কথায়, বাজির বিপদ সম্পর্কে তাঁরা সচেতন। তাই মণ্ডপ ও সংলগ্ন জায়গায় বাজি ফাটাতে দেওয়া হয় না। তবে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা যে যথেষ্ট নেই, তা ঠারেঠোরে অনেকেই স্বীকার করেছেন। বাসিন্দাদের বক্তব্য, রকেট জাতীয় বাজি ফাটালে সেটি উড়ে মণ্ডপে পড়তে পারে। আগুন লাগতে পারে শর্ট সার্কিট থেকেও। সুতরাং বিপদের অাশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই আপৎকালীন ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। পুলিশ-প্রশাসন জানাচ্ছে, ব্লক কমিটি ও পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আগুন ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় কিছু পুজোয় আগুন নেভানোর ব্যবস্থা রয়েছে ঠিকই। কিন্তু অনেক জায়গাতেই তেমন প্রচেষ্টা চোখে পড়েনি বলে দাবি বাসিন্দাদের। এসি ব্লকের একটি পুজোর উদ্যোক্তা তপেশ মজুমদার বলেন, মণ্ডপে গোটা দশেক অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্র রেখেছি। বালিও মজুত থাকছে। তাঁর দাবি, পার্কে বাসিন্দাদের একত্রিত হয়ে বাজি ফাটানোর আবেদন করা হয়েছে। সিএফ ব্লকের একটি পুজোতেও থাকছে পর্যাপ্ত সুরক্ষা। যদিও দত্তাবাদের বেশ কিছু পুজোমণ্ডপে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা চোখে পড়েনি বলেই জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা পুজো উদ্যোক্তা নির্মল দত্ত সে কথা স্বীকার করে জানান, তাঁদের ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে নিশ্চিত ভাবে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হবে। পুলিশ জানায়, প্রচারে কতটা সাড়া মিলল, সে বিষয়েও থাকছে নজরদারি। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দ বাজার একে/০৬:০৫/০৭ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2zzm649
November 08, 2018 at 12:04AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন