ঢাকা, ৩১ মার্চ- ছোট পর্দার একসময়ের নন্দিত অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমু। নব্বই দশকের শেষ দিকে টেলিভিশনে নাটকের মধ্যে দিয়ে আগমন ঘটেছিল তার। সেই সময়ে সমসাময়িক অন্যান্যদের মত জনপ্রিয়তাও কুড়িয়েছিলেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নানা ধরনের গল্প ও চরিত্রে কাজ করে অগণিত দর্শকের হৃদয় কেড়েছেন এই অভিনেত্রী। মাঝে অনেকদিন কাজ থেকে দূরে ছিলেন। তবে এখন স্বামী সংসার নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটছে তার। এরমধ্যে কিছুটা সময় অভিনয়ে দেন। তবে আগের চেয়ে এখন অভিনয় অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। আগের মত আর এত সরব নন এখন। পছন্দসই গল্প হলেই সেখানে দেখা মেলে তার। সামনেই আসছে পহেলা বৈশাখ ও ঈদ। এই বিশেষ দিনগুলোতে তাকে দেখা যাবে নতুনত্বে। এখন অভিনয়ে খুব একটা দেখা যায় না তাকে। অনেক কাজের মাঝেও অভিনয়ের জন্য আলাদা করে সময় বের করছেন তিনি। সম্প্রতি পান্থ শাহরিয়ারের রচনা ও আরিফ খানের পরিচালনায় সেদিন বিকেল ছিল নামের একটি টেলিছবির কাজ শেষ করেছেন। শরিফুল ইসলামের পরিচালনায় টাপুর টুপুর নামের একটি নাটকের কাজ শুরু করবেন শিগগিরই। এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু ঈদ ও বৈশাখী নাটক এবং টেলিছবিতে অভিনয় করবেন বলে জানান তিনি। সুমাইয়া শিমু বলেন, সবাই জানতে চায় আমি অভিনয় কেন কমিয়ে দিয়েছি! আসলে এটার কারণ আমি নিজেও ভেবে পাই না। চাইলে তো এক নাগাড়ে অনেক কাজ করা যায় সত্যি। কিন্তু সেই কাজ যদি দর্শকের মনে ছাপ না ফেলে তাহলে তো সেটা অর্থহীন। আমি এটা বলছি না যে, ভালো কাজের সংখ্যা কমে গেছে বলে অভিনয় কমিয়ে দিয়েছি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ভালো চিত্রনাট্য দেখে কাজ করার চেষ্টা করেছি। জনপ্রিয়তার জোয়ারে কখনোই গা ভাসাতে চাইনি। এখনও সেটাই চাই। এ জন্যই পড়াশোনা, ঘর-সংসার সবকিছু সামলেও অভিনয় করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, এটা সত্যি যে, কয়েক বছর আগে যেভাবে অভিনয়ে ব্যস্ততা কাটিয়েছি এখন সেভাবে এক নাগাড়ে নাটক, টেলিছবিতে কাজ করা হয়ে উঠছে না। তাই চেষ্টা করি সংখ্যা কম হলেও সেই কাজটি করতে, যা দর্শকমনে দাগ কাটবে। সুমাইয়া শিমু প্রতিটি কাজে তার শিল্পীসত্তাকে উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ কারণেই দর্শক বারবার তাকে নানা রূপে নানা চরিত্রে দেখার বাসনা লালন করেন। যোগ করে তিনি আরও বলেন, ভক্তদের ভালোবাসা থেকে কখনও বঞ্চিত হতে চাই না। তাদের জন্যই তো অভিনয় জীবন বেছে নেওয়া। অনেক ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করে যাওয়া। হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও তাদের জন্যই অভিনয় করে যাব। শিমুর জন্ম ও শৈশব কাটে নড়াইলে। তার পিতা আতিয়ার রহমান একজন সরকারী কর্মকর্তা এবং মাতা লায়লা রহমান একজন গৃহিণী। শিমু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকার ও রাজনীতিবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাট্যকলা বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯৯ সালে এখানে আতর পাওয়া যায় নাটক দিয়ে টেলিভিশন অভিষেক হয় সুমাইয়া শিমুর। এরপর একে একে অনেক নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয় করেছেন নন্দিত এই অভিনেত্রী। এরপর ইডিয়ট, মন কাঁদে, মিস্টার অ্যান্ড মিসের সরকার, কবি, দুষ্টু পাখি চন্দনা, আনন্দ, অসামাজিক, ব্রেইনওয়াশ, ও মাই গড, হ্যালো, সাদা গোলাপ, শিউলি অথবা রক্তজবার গল্প, লেক ড্রাইভ লেন, স্বপ্নচূড়া, হাউস ফুল, সবুজ দরজা, সাবলেট, আগাছা, দর্পহরণ, স্বপ্নজাল, ছোট্ট একটা ভুল, ব্ল্যাক নভেম্বর, শোয়া বাবা, শুভদৃষ্টি, অহর্নিশ ভালোবাসাসহ প্রতিটি নাটক, টেলিছবিতে সুমাইয়া শিমু অভিনয়ে নিজেকে ভেঙে নতুন করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। ২০০৯ সালে স্বপ্নচূড়া নাটকে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনেত্রী হিসেবে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন তিনি। আর এস/ ৩১ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2WGWxID
April 01, 2019 at 02:45AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন