ঢাকা, ০৬ এপ্রিল- ঢাকার রাজাবাজারে দীর্ঘজীবন কাটিয়ে মৃত্যুর পর অভিনেতা টেলি সামাদের শেষ ঠিকানা হচ্ছে তারই জন্মস্থান মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও গ্রামে। এমনটাই জানালেন অভিনেতার খালাতো ভাই। তিনি জানান, পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামীকাল (৭ এপ্রিল) মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও-এর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে মরদেহ। এর আগে রাজধানীর রাজাবাজারের একটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বিএফডিসিতেও মরদেহ নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন তারা। জানা গেছে, হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন টেলি সামাদ। চার দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা টেলি সামাদ আজ (৬ এপ্রিল) বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসক প্রতীক দেওয়ানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন এই অভিনেতা। তিনি জানান, গতকাল (৫ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে টেলি সামাদকে এই হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। টেলি সামাদের চার ছেলে-মেয়ে। দুই মেয়ের নাম কাকলি ও বিন্দু। দুই ছেলে সুমন ও দিগন্ত। এরমধ্যে বড় ছেলে সুমন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। টেলি সামাদের জন্ম ১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি, মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও গ্রামে। তার আসল নাম আবদুস সামাদ হলেও সিনেমায় এসে হয়ে যান টেলি সামাদ। টেলি সামাদ পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। সংগীতেও রয়েছে এই গুণী অভিনেতার পারদর্শিতা। মনা পাগলা ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। নজরুল ইসলামের পরিচালনায় ১৯৭৩ সালের দিকে কার বৌ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে এই অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। তবে দর্শকের কাছে যে ছবিটির মাধ্যমে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন সেটি হলো পায়ে চলার পথ। অভিনয়ের বাইরে ৫০টির বেশি চলচ্চিত্রে তিনি গানও গেয়েছেন। অভিনয় করেছেন ছয় শতাধিক চলচ্চিত্রে। যদিও এই অভিনেতার আজীবন আক্ষেপ ছিলো, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার না পাওয়ার কারণে। ২০১৫ সালে টেলি সামাদ অভিনীত সর্বশেষ ছবি মুক্তি পায় অনিমেষ আইচের জিরো ডিগ্রী। এআর/০৬ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2uQkMbm
April 06, 2019 at 10:52PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন