ঢাকা, ০৩ এপ্রিল- কিছু দিন আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি ঘোষণা দিয়ে ছিলো আগামী ১২ এপ্রিল থেকে অনিদৃস্ট কালের জনয বন্ধ করা হবে দেশের সব সিনেমা হল। আর এ ঘোষণার পর চলচ্চিত্রপ্রেমীরা শংকায় ছিলো। কিন্তু অবশেষে স্থগিত করা হলো এই সিদ্ধান্ত। আপাতত বন্ধ হচ্ছে না দেশের কোন সিনেমা হল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। মঙ্গলবার(০২ এপ্রিল) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রদর্শক সমিতির নেতাদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রদর্শক সমিতিকে সিনেমা হল বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বলেন। এ প্রসঙ্গে ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, সেখানে উপস্থিত মন্ত্রী মহোদয় বাস্তবতার নিরিখে কথা বলেছেন। তিনি মনে করছেন, সিনেমা হল না থাকলে নির্মিত বা নির্মিতব্য সিনেমাগুলো কোথায় চলবে! সেজন্য মাননীয় মন্ত্রী শিগগিরই চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সমিতিগুলোর সঙ্গে বসবেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, সীমিত আকারে হিন্দি ছবি আমদানি করা হবে। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে তথ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কথা বলেছে। সেজন্য আমরা সরকারের প্রতি সম্মান জানাতে সিনেমা হল বন্ধের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করেছি। কবে নাগাদ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের সাথে মন্ত্রণালয় বসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি, খুব তাড়াতাড়ি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমিতির সাথে আলোচনায় বসতে। যদি আলোচনা দেরিতে হয়, তাহলে দেখা যাবে ওই সময়টায় আরও সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এদিকে হিন্দি ছবি সাফটা চুক্তিতে আমদানি হবে কিনা সেটা নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি জানান। তবে সাফটা চুক্তিতে যেসব পশ্চিমবঙ্গের ছবি বাংলাদেশে মুক্তি পেতে দীর্ঘসূত্রিতা ছিল, সেটা বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে আমদানির এক সপ্তাহের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়ে মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। উল্লেখ, গত ১৩ মার্চ সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের ঘোষণা বিষয়ে প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেছিলেন , চলচ্চিত্রের দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আমরা মাননীয় তথ্যমন্ত্রী এবং তথ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কিন্তু তারা সুনির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোকে বাঁচানোর কিংবা দেশীয় ছবির উৎপাদন বাড়ানো এবং উপমহাদেশীয় ছবি আমদানির বাধাসমূহ অপসারণের কোনো কার্যকর পথনির্দেশ দিতে পারেননি। বাংলাদেশে প্রেক্ষাগৃহ ১২৩৫ থেকে ১৭৪-এ নেমে এসেছে। এদিকে বর্তমানে প্রদর্শক ও প্রযোজকের পুঁজি ধ্বংস হয়েছে, প্রেক্ষাগৃহের ৫০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছে। এমএ/ ০০:০০/ ০৩ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2FSetKL
April 03, 2019 at 06:12AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top