কলকাতা, ২০ এপ্রিল-নদিয়ার কালীগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভায় চরম বিশৃঙ্খলা। অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে শেষমেশ বক্তব্য থামাতে বাধ্য হন তৃণমূল নেত্রী। বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে মমতার বক্তব্য। প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ফের বক্তব্য শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সভা শুরু থেকে বিশৃঙ্খলা হতে শুরু করে মমতার সভাস্থলে। বারবার মঞ্চ থেকেই সাধারণ মানুষকে শান্ত হয়ে বসে থাকার অনুরোধ করেন। এমনকি সোনা-বাছা বলেও সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু কে কার কথা শোনে। সবাই সবার মতো সভায় চিৎকার করতে থাকে। অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে একসময়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তিনি। মঞ্চ থেকেই বলতে থাকেন, আমি গত ২০ দিন ধরে চিৎকার করছি। কার্যত অবস্থা বেগতিক দেখে যারা বেরিয়ে যেতে চান তাঁদের বেরিয়ে যাওয়ারও কথা বলেন নেত্রী। কিন্তু তাতেও সভাস্থলে থাকা কয়েকশ মানুষকে চুপ করানো সম্ভব হয় না। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্য থামিয়ে দেন মমতা। মঞ্চে থাকা সমস্ত নেতাদের পরিস্থিতি সামালের নির্দেশ দেন। সেই মতো সবাই মানুষকে শান্ত করার কাজে নেমে পড়েন। এরপর প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ফের বক্তব্য শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশ জুড়ে চলছে ভোটযজ্ঞ। আর রাজনৈতিক মহল বলছে, দেশের নির্বাচনে একটা বড় ভূমিকা নিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। তাই বৈশাখের উত্তাপ তোয়াক্কা না করেই সভা কিংবা মিছিলে যোগ দিচ্ছেন বহু মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ভিড় নতুন কিছু নয়। তবু কালীগঞ্জের প্রচারে গিয়ে রীতিমত হিমসিম খেতে হল খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে মৌসম নুরের সভাতেও একই অবস্থা হয়েছিল। এতটাই ভিড় ছিল সেখানে যে মমতা বক্তব্য রাখার কিছুক্ষণের মধ্যেই চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায় সেখানে। যা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তৃণমূল নেত্রী। সেবারও একই ভাবে মঞ্চে বক্তব্য থামিয়ে দেন নেত্রী। এবারও সেই ঘটনার অন্যথা ঘটল না। এইচ/২০:১৭/২০ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2vd7jdJ
April 21, 2019 at 02:18AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top