ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পূর্ণিমাকে অনেকদিন বড় পর্দায় দেখা না গেলেও টেলিভিশনের পর্দায় তিনি নিয়মিত। তবে খুব শিগগিরই বড় পর্দায় দেখা যাবে এই নায়িকাকে। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার দুটি সিনেমা। শুত্রবার (২৪ মে) ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকার দেখা মিলেছে একটি বৃদ্ধাশ্রমে। রাজধানীর উত্তরার উত্তরখান এলাকার মৈনারটেক জিয়াবাগ বৈকাল স্কুলের পাশে অবস্থিত বৃদ্ধাশ্রমটির নাম আপন নিবাস বৃদ্ধাআশ্রম। সেখানে বর্তমানে পঞ্চাশেরও বেশি বৃদ্ধ মা ও বেশ কিছু প্রতিবন্ধী রয়েছেন। সেইসব মায়েদের কারও রয়েছে মানসিক অসুস্থতা এবং কারও রয়েছে শারীরিক অক্ষমতা আর এইসব সমস্যার কারণেই আজ তারা ঘর থেকে নিজের পরিবার থেকে বিতারিত। সেই অসহায় আশ্রয়হীন এবং জীবনের আশা হারানো মায়েদেরকে যত্ন করে তুলে নিয়ে এসে নিজেদের মায়েদের মত করে সেবা যত্ন করে যাচ্ছেন এই বৃদ্ধাশ্রমটির নির্বাহী প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সৈয়দা সেলিনা শেলী। এই মায়েদের দেখতে বৃদ্ধাশ্রমে হাজির হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। ভালোবেসে তাদের জন্য খাবার নিয়ে গিয়েছেন তিনি। কাটিয়েছেন একটি আনন্দঘন মূহুর্ত। পুরো সময়টুকু নিজের মায়ের দেখাশোনা করার মত করে সময় কাটিয়েছেন। তাদের সঙ্গে গান গেয়ে সময় কাটিয়েছেন এবং সর্বোপরি তাদেরকে অফুরন্ত ভালোবাসায় মুগ্ধ করে এসেছেন। পূর্ণিমা জানান, আমি বৃদ্ধাশ্রমের মায়েদের সঙ্গে একবেলা খাবার খেয়েছি, তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। সেখানে গিয়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বৃদ্ধাশ্রমটিতে প্রায় ৫০ জনের মত বৃদ্ধ রয়েছেন যাদের মধ্যে অনেকের বয়সই ১শ এর বেশি। এছাড়া কয়েকজন যুবতী রয়েছে, রয়েছে কিছু প্রতিবন্ধী যারা চোখে দেখতে পায় না। আমার কাছে এটা ভালো লেগেছে যে তারা একটি নির্ভরযোগ্য স্থানে আছে যেখানে তারা সঠিক যত্নটা পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তাদের সঙ্গে সময়টা কাটিয়ে এবং একবেলা খাওয়াতে পেরে আমার নিজের মধ্যে একটি তৃপ্তি পেয়েছি। মনের মধ্যে একটা শান্তি অনুভব করছি। আমার মত করে আপনারা যারা আছেন সবাই আসুন, তাদের সঙ্গে সময় কাটান একবেলা। সবাইকে অনুরোধ করবো তাদের পাশে এসে দাড়ানোর জন্য। আপন নিবাস বৃদ্ধাশ্রমটির নির্বাহী প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সৈয়দা সেলিনা শেলী বলেন, আমাদের এই বৃদ্ধাশ্রমে এসেছিলেন আমাদের সবার প্রিয় মুখ পূর্ণিমা। তিনি অসম্ভব ভাল মনের একজন মানুষ। তিনি মায়েদের জন্য খাবার এনেছেন, গল্প করেছেন, গান করেছেন আর অফুরন্ত ভালোবাসা দিয়েছেন। পাশাপাশি কথা দিয়েছেন ভবিষ্যতেও তিনি আসবেন এবং আমাদের মায়েদের সাথেই থাকবেন। এই দিনটির কথা আমাদের মা এবং ছোট প্রতিবন্ধী বোনেরা কখনোই ভুলবে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে কোথাও কোনো আশ্রয়হীন অসহায় মা রাস্তায় পরে থাকবে না। সকল মা দের একটি সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতেই আমাদের এই অদম্য চেষ্টা। আর আমাদের যারা পাশে আছেন এবং ছিলেন, তারা আছেন বলেই আমরা এত ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারছি। ইনশাল্লাহ, আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে এক টুকরো জমির ব্যবস্থা করা যেখানে মায়েদের জন্যে স্বপ্নের একটি বাড়ি হবে আর সে জন্যে প্রয়োজন সবার ভালোবাসা আর মহানুভবতা। ২০১০ সালে মাত্র ছয়জন সর্বস্ব হারা, আপনজন হারা এবং আশ্রয়হীন বৃদ্ধা নারী নিয়ে শুরু হয় আপন নিবাস বৃদ্ধাশ্রমটির যাত্রা। বিভিন্ন রাস্তা, ট্রেন স্টেশন, লোকাল বাজার থেকে এরকম বৃদ্ধা মা যাদের কে নুন্যতম খাবার দেবার মত কেউ নেই তাদেরকে এই আশ্রমে এনে একটুখানি ভালো রাখার চেষ্টায় সেবা করে যাচ্ছেন এর প্রতিটা কর্মী। আর এস/ ২৫ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2YGAtia
May 25, 2019 at 10:06AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন